রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭
  • ২৯৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলার প্রতিদিন.কম ঃ 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব মত দেয় দলটি।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

মতবিনিময়ে যোগ দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এ সময় তাঁরা ১৭ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

সভা শেষে হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলেও তাঁরা মনে করেন না। আর নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, সেটি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয় তাই এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ করেননি।

এ সময় সাংবাদিকরা ইনুর কাছে জানতে চান, তিনি কী মনে করেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে?

জবাবে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশাবাদি। গত নির্বাচনে যারা ভোট বর্জন করে আগুন সন্ত্রাস করেছে। তারা এবার সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে মনে করি।’

মতবিনিময়ে জাসদ যেসব সুপারিশ তুলে ধরে সেগুলো হলো – নতুন করে আদম শুমারি প্রতিবেদন না হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দশম সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখা, ইভিএম ব্যবহার করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা রাখা, নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলকে অনুদান দেওয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীতায় এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দেওয়ার বাধ্যবাধকতরা বাতিল, প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার বিষয়টি বাতিল করা, জামায়াতের কেউ যেন বিএনপি বা অন্য দলের হয়ে ভোটে অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, দলছুটসংসদ সদস্যদের ‘জাসদের’ নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য কোনো নামে নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, নিবন্ধিত দলকে ব্যয় নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান দেওয়া, দলের অনুদান আয়কর মুক্ত করা, ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রোধে প্রার্থিতা বাতিল, জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করায় অযোগ্যতা বিধান, পাবলিক ও বেসরকারি থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা, প্রতীক বরাদ্দের দিনই জোটভুক্তদের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রাখা ও নির্বাচন আর্কাইভ স্থাপন করা।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৫টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করল ইসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451