ফুলবাড়ীয়ায় পুলিশ প্রশাসনের সফলতা
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ জঙ্গিবাদ, বাল্য বিবাহ ও মাদকমুক্ত সোনার
বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ত্রিশাল সার্কেল)
মোঃ আল-আমীন। নারী নির্যাতন, বাল্য বিয়ে, মাদক, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদ
নির্মূলে বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তার
কর্ম এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা শুনলেই সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে এসব কর্মকান্ডের জন্য তিনি ময়মনসিংহের শ্রেষ্ঠ
সার্কেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের মাঝেও তিনি একজন সৎ
নীতিবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। তার সার্বিক
তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছেন ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার
ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের।
শেখ কবিরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে আইন সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি
জঙ্গিবাদ, জুয়া ও মাদকমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ ফুলবাড়ীয়াবাসীর কল্যাণে পৌঁছে
দিতে ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছেন। একদিকে যেমন অল্প দিনেই এই পুলিশ কর্মকর্তা
সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের মাঝে সৎ ও
নিষ্ঠাবান ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে স্থানীয় জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের মাঝে
দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। থানায় অনেক মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ আসলেও সরাসরি
তিনি এফআইআর না করে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে
সত্যতা যাচাইপূর্বক মামলা রুজু করে থাকেন। এমনকি মামলার কুফল সম্পর্কে
অবহিত করে অনেক ঘটনা মিমাংসা করে দিয়েছেন। তিনি একজন সাদা মনের
মানুষ, নিজেকে নিয়ে কোন গর্ব ও অহংকার নেই। তিনি সবাইকে সম-মূল্যায়নের
মাধ্যমে আইন সেবা নিশ্চিত করেছেন। এমন একজন অফিসার ইনচার্জ
ফুলবাড়ীয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অত্র
উপজেলায় আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অনেকটাই মাদক ও জুয়া মুক্ত হয়েছে।
মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাঁজা, ইয়াবা,
চুলাই মদ ও বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যসহ গ্রেফতার হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়াও
তিনি থানার অবকাঠামো যেমন- থানা চত্বর লাইটিং, ফুলের বাগান, এস্ধসঢ়;.আই
কোয়ার্টার, গোলঘর, ব্যাটমিন্টন খেলার কোড সংস্কারসহ মুসল্লীদের
সহযোগিতায় থানা জামে মসজিদের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার উন্নয়মূলক কাজ
করেছেন। আগামী দিনে তিনি আইন সহায়তার মাধ্যমে নাগরিক চাহিদা পূরণে
প্রশাসনিক কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক দপ্তর হিসেবে উপহার দিবেন
এটাই সকলের প্রত্যাশা।
ফুলবাড়ীয়া থানার দক্ষ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের উপজেলার সীমান্তবর্তী
কাহালগাঁওয়ে নারী ব্যবসায়ীর আস্তানায় থেকে ব্যবসায়ী লালু মিয়া ও নারীসহ
কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন মদ গাঁজার আস্তানা। তিনি
বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামী দ্রুত গ্রেফতারে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা।
সম্প্রতি কলেজ ছাত্র তাজু হত্যার প্রধান আসামী, অজ্ঞাত কলেজ ছাত্রীর বস্তাবন্দি
লাশ উদ্ধার মামলার আসামী ঘাতক স্বামী মাসুমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে
ওসি তদন্ত আবুল খায়ের। এছাড়াও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলে সাড়াশি অভিযান
চালিয়ে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ঢাকা জজ কোর্টের এক
আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ মাসে মাদক মামলা হয়েছে ৩৮টি, গ্রেফতার
হয়েছে ৪৭ জন, ৮৪৪ পিস ইয়াবা, ২ কেজি ৫৮০ গ্রাম গাঁজা ও ১৩৫ লিটার চুলাই
মদ উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়ারেন্ট তামিল হয়েছে ৬৬৯টি। যা বিগত সময়ের চেয়ে
অনেক বেশি। সচেতন মহল মনে করছে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকলে অচিরেই
ফুলবাড়ীয়া মাদক ও জুয়া মুক্ত হবে।