বেনাপোল প্রতিনিধি:
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সোনালী ব্যাংকে ভারতগামী এক পাসপোর্টধারী
যাত্রীর ভ্রমণ ট্যাক্স জালিয়াতি করে ধরা খেয়েছে হাবিবুর রহমান (৩৪) নামে এক আনসার
সদস্য। আজ বুধবার দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হযেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাল ভ্রমন
ট্যাক্স কপি নিয়ে পাসপোর্ট’র সিল করাতে গিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ’র হাতে ধরা খায়
সে।
আটক আনসার সদস্য সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাট গ্রামের ইউনুছ আলীর
ছেলে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, ওই আনসার সদস্যকে বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের
নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। সে নিরাপত্তার কাজ না করে সোনালী ব্যাংকের ট্রাভেল
ট্যাক্স বইয়ের পাতায় সিল সাক্ষর করে জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছে ট্যাক্স
বিক্রি করে আসছিলো দীর্ঘদিন থেকে। ঘটনার দিন আনসার সদস্য ব্যাংক থেকে নিজে
ট্রাভেল ট্যাক্স কেটে সীল স্বাক্ষর জাল করে ট্যাক্স কপিতে তিন জন পাসপোর্ট যাত্রীর
পাসপোর্ট নাম্বার বসিয়ে তিন জনকে পার করার চেস্টার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ’র হাতে
ধরা পড়ে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওমর শরীফ জানান, ওই আনসার সদস্যেরে কাছ থেকে
মুছলেকা পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের হাতে সোপর্দ করা
হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর জানান, এটা বড়
ধরনের অপরাধ বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্টে কর্মরত সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মুকারম হোসেন বলেন, ওই
আনসার সদস্যকে ব্যাংকের ম্যানেজার এখানে নিয়োগ দিয়েছেন। সেই অনিয়ম করে
নিজে ট্যাক্স কপিতে সিল ও স্বাক্ষর করেছে। বেনাপোল ব্যাংকের ম্যানেজার রফিকুল হাসান
ট্যাক্স জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ট্যাক্স জালিয়াতির কাজ করে ওই আনসার
সদস্য বড় ধরনের অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।