মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
জহিরুল ইসলাম তপু। মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান। ৬ সদস্যসের পরিবারের
মধ্যে কনিষ্ট হওয়ায় সবার প্রিয় ছিল সে। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি নেন।
চাকুরির বয়স যেই দিন ৪ বছর ১১ মাস ২৩ দিন, সেই দিনই জঙ্গী হামলায়
নিহত হয় তপু। গত বছর ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের
শোলাকিয়া ঈঁদগাহ মাঠের কাছে আজিমুদ্দিন হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায়
কর্তব্যরত অবস্থায় জঙ্গী হামলায় নিহত হয় ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া
উপজেলার ভাটিপাড়া বালাশ্বর গ্রামে মৃত বীর মুক্তিযুদ্ধা আঃ মজিদের পুত্র
জহিরুল ইসলাম। আজ শুক্রবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী তার । পরিবারের পক্ষ
থেকে নিজ বাড়িতে পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও দুপুরে এতিম
শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের এ আয়োজনের সাথে পুলিশও
সহযোগীতা করবেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম
জানিয়েছেন। ৪ বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জহিরুল ইসলাম ও ফাতেমা খাতুন
পুলিশে চাকুরী করতেন। তিন বোন ও এক ভাই বিয়ে করেছেন। নিহত হওয়ার ৬
মাস পূর্বে মায়ের জন্য একটি হাফ বিল্ডিং ঘরের কাজ শুরু করেন। ঘরের কাজও
শেষ। শোলাকিয়া ঈঁদগা মাঠের ডিউটি শেষে ছুটিতে বাড়িতে এসে
মাকে নিয়ে নতুন ঘরে উঠার কথা ছিল তার। জঙ্গী হামলায় নিহত হওয়ার পর
সবকিছু উলটপালট হয়ে যায় পরিবারটির। সেই ঘরটিতে এখন বসবাস
করছেন ভাই দেলোয়ার হোসেনের সাথে মা জোবেদা খাতুন । প্রিয় সন্তান
নিহত হওয়ার পর অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেছে মা জোবেদা
খাতুন। মৃত্যুর আগে প্রিয় সন্তান হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান
তিনি।