আব্দুর রহিম পলাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে প্রায় চিকিৎসক সংকট হয়ে পড়েছে। এখানে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৬ জন। এছাড়া উপজেলা ১৫ টি সাব-সেন্টারে নেই কোন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ হাসপাতালে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ মাত্র ৭ জন চিকিৎসক রয়েছেন। অথচ এই হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা। অন্যদিকে উপজেলা ১৫ টি সাব-সেন্টারে চিকিৎসক না থাকায় ফার্মাষ্টিট ও মেডিকেল সহকারী দিয়ে চলছে রোগীর চিকিৎসা। শিবগঞ্জ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রোগীরা। বেশ কিছু দিন থেকে নেই স্থায়ী আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মেডিক্যাল অফিসার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্যত্র বদলী হয়ে চলে গেছেন। এখানে নেই জুনিয়ার কনঃ (সার্জারী), জুনিয়ার কনঃ (মেডিসিন), জুনিয়ার কনঃ (গাইনী), জুনিয়ার কনঃ (চক্ষু), জুনিয়ার কনঃ (ইএনটি), জুনিয়ার কনঃ (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনঃ (কার্ডিও), জুনিয়ার কনঃ (শিশু), আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, এমও/আইএমও সহকারী সার্জন (নবসৃষ্ঠ) হোমিও প্যাথি। যে কয়জন চিকিৎসক তার মধ্যে রয়েছেন ডাঃ আজিজুল হক, ডাঃ সালাউদ্দিন কবির, ডাঃ কুশল কুমার ব্যান্ধা, ডাঃ আবু শাহাদাৎ মাহফুজ, ডাঃ কামাল উদ্দিন ও ডাঃ রবিউল ইসলাম। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার না থাকায় হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি হওয়া রোগীরা যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। অবশ্যই একজন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও সব দিক তার পক্ষে একা দেখাশুনা করা সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা থাকলেও নিয়মিত অফিস না করায় অন্যান্য বিভাগ গুলোতেও দেখা দিয়েছে অনিয়ম। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা গরীব রোগীদের বাধ্য হয়ে ক্লিনিক গুলোতে গলা কাটা টাকা দিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। আবার হাসপাতালের কোন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সেরাও হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য আসা গরীব রোগীদের চিকিৎসক নেই বলে অন্যান্য ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটছে বলেও অভিযোগ উঠেছে