শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

শনির হাওরে দশ হাজার হেক্টর বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

 

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সর্ব শেষ শনির হাওরটি গত

শনিবার (২২এপ্রিল) দিনগত রাতে মধ্য রাতে লালুগোয়লা ও আহমখালি

বাঁধে কয়েকটি বুরুংগা বড় (পানি প্রবাহের ছোট ছিদ্র) হয়ে

বৃষ্টির পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে তীব্র গতিতে হাওরে প্রবেশ করছে

পাহাড়ী ঢলের পানি। রাতে হাওরের পাহাড়ায় থাকা লোকজন এ হাওরটি

রক্ষায় সবাতর্œক চেষ্টা করেও কোন লাভ হয় নি। কৃষকের সব স্বপ্ন

ভেঙ্গে দিল পাহাড়ী ঢলের পানি। ভাসিয়ে দিল উপজেলার সর্ব শেষ শনির

হাওরটিও। র্দীঘ ২৫দিন ধরেই ঝড়-বৃষ্টি- ব্রজপাত উপেক্ষা করে দিন-রাত

হাজার হাজার শ্রমিক সেচ্ছা শ্রমে হাওরটি রক্ষায় বাঁেধ কাজ

করছিল। বাঁধ রাত জেগে পাহাড়ায় ছিল আরেক দল। একের পর এক

হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পরও উপজেলা বাসীর একটাই সর্বশেষ

চাওয়া ছিল শনির হাওর রক্ষা। তাই শেষ সম্পদ জীবন বাচাঁর একমাত্র

হাতিয়ার এ হাওরটি রক্ষায়। নিজেদের জীবন বাজিঁ রেখেই যুদ্ধ

করছিল হাওরবাসী হাওরের বাধেঁ পাহাড়ী ঢলের পানি আর বৈরী

আবহাওয়ার সাথে। এই হাওরটি শেষ রক্ষা করতে না পেরে বুকভড়া দীর্ঘ

শ্বাস যেন হাওরপাড়ের আকাশ ভারী হয়ে ঊঠেছে। জানাযায়,বোরো

উৎপাদন সমৃদ্ধ বৃহত্তর এ হাওরে তাহিরপুর উপজেলার সাড়ে ৬হাজার

হেক্টর ও পাশ্ব ভর্তি জামালগঞ্জ উপজেলার ৩হাজার হেক্টরের অধিক

জমিতে কৃষকরা বোরো ধানের চাষাবাদ করেছে। হাওর ডুবায়

হতাশায় ভেঙ্গে গেছে সবার মন কারন এই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে শনি হাওর

আর রক্ষা আর কোন উপায় থাকল না। খবর পেয়ে বাঁধে ছুঠে যান

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ হাওর পাড়ের কৃষকগন।

নিমেশেই হাওর যেন পানিতে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে উঠছে

পাহাড়ী ঢলের পানিতে। বাদল,সাইদুল,নাসরুম,সোহাগ,সাদেক আলী

সহ স্থানীয় কৃষকরা জানান,যে ভাবে হাওরে পানি ডুকছে সন্ধ্যার

মধ্যে শনির হাওরের আধা পাকা ও কাচাঁ বোরো ধান পানির নিচে

ডুবে যাবে। তাই এখন কাটছি কিছু করার নাই। তারা আরো

অভিযোগ করে বলেন,গত ২৮শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে এই উপজেলার

২৩টি হাওরের ১৮টি বেরী বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করার সরকারি

নির্দেশ থাকলেও ৪০ভাগ কাজও শেষ করে নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের

ঠিকাদার ও পিআইসিগন। নিজেদের খেয়াল খুশি মত,দায় সারা ভাবে

বাঁধ নির্মান করায় একের পর এক হাওর ডুবে এ উপজেলার ৯০ভাগ

বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় ফাঠল ও দেবে যাওয়া অংশে

সংস্কারের কাজ করেছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান

কামরুল সহ হাওর পাড়ে কৃষকগন দিন-রাত সেচ্ছা শ্রমে। আর এই

ফসল ফলাতে কৃষকরা এনজিও,ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ছড়া

সুদে নেওয়া ঋন নেওয়ায় এখন ফসল হানির কারনে পরিশোধ নিয়ে

হতাশায় দিন পার করছে হাওর পাড়ের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়-তাহিরপুর উপজেলার এ

বছর উপজেলায় ১৮,৩০০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষবাদ

করা হয়েছে। শনি হাওর হাওর ডুবে প্রায় সাড়ে ৬হাজার হেক্টর

কাঁচা,আধা পাকা বোরো জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে

তলিয়ে যাওয়া হাওরের কাচাঁ ও পাশ্ব ভর্তি জামালগঞ্জ উপজেলার

৩হাজার হেক্টর বেশি আধা পাকা ধান কাটছে এখন কৃষকগন।

উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওরে উৎপাদিত ২শ কোটি টাকার ফসলের

উপর নির্ভর করেই জীবন জীবিকা চলে হাজার হাজার কৃষক পরিবারের।

এবছর ৯০ভাগ বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান-রাত

সাড়ে খবর আসে শনি হাওরের লালু গোয়ালা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে

সাড়ে ৯হাজার হেক্টরের বোরো জমির আধা কাচা-পাকা ধান বেশির

ভাগ পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এ বছর হাওরের ক্ষতির পরিমান অন্যান্য

বছরের চেয়ে অনেক বেশি।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল

বলেন-শনি হাওরের বাঁধটি রক্ষায় আমি সহ হাজার হাজার কৃষক সহ

সবাই ২৫দিন ধরে অবস্থান করছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধটির শেষ

রক্ষা করতে পারলাম না লালুরগোয়লা বাঁধ ভেঙ্গে ও সাহেব নগড় আপর

দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি এখন শনির হাওরে তীব্রগতিবে ডুকছে।

এবার কৃষকের কষ্টের শেষ নেই। সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মাণ না করার

কারণে একের পর এক হাওর ডুবছে। বাঁধ নির্মানে

দূর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী ও কৃষকের সহযোগীতার

দাবী জানাই।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইুসলাম

জানান-শনি হাওরের বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা করে যাচ্ছিল হাজার শ্রমিক

সেচ্ছা শ্রমেগন কিন্তু গত শনিবার দিন গত মধ্য রাতে খবর পেলাম

যে লালুরগোয়ালা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে যার ফলে শনি হাওর রক্ষা করা

সম্ভব হল না।াঁ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451