শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ আর নেই

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ আর নেই। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে টানা আড়াই মাস তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বরেণ্য এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গুণী এই সংগীত শিল্পী অনেক দিন ধরেই মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল তার। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এই সংগীতকারের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল দেশের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষেরা।

লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—  ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।

বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক লাকী আখান্দের জন্ম ১৯৫৬ সালে ১৮ জুন। ১৯৮৪ সালে সারগাম থেকে বের হয় লাকী আখান্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ’। তিনি হ্যাপি টাচ ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন। তার সুর ও সংগীতায়োজন করা খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত)।

লাকী আখান্দ ৫ বছর বয়স বাবার কাছ থেকে সংগীতে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন।

লাকী আখান্দের সুর ও সংগীতায়োজনে উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হলো— ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজিৎ), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায়রে’ (হ্যাপী আখন্দ)।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451