বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

জঙ্গিবাদ বৃদ্ধিতে রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ইন্ধন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

 

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জঙ্গিবাদ বৃদ্ধিতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ইন্ধন রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কিছু পরিচিত দায়িত্বশীল, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী রয়েছেন, যারা জঙ্গি দমনে পুলিশের কৌশল নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা প্রকারান্তরে জঙ্গীবাদকেই মদদ দিচ্ছেন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদকের আগ্রাসন প্রতিরোধ গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদ একদিনে সৃষ্টি হয়নি। ৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এবং ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান ফেরত যোদ্ধারাই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। আর এ জঙ্গিবাদ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে। এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। বিশেষ করে আকাশ সংস্কৃতি ও স্যোশাল মিডিয়ায় এর প্রভাব রয়েছে। তার সঙ্গে অভ্যন্তরীন রাজনীতির প্রভাবও রয়েছে।

তিনি বলেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে আইএস এর প্রভাব নিম্নমুখী তখন আমাদের দেশে তা উস্কে দিচ্ছে। এটা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ইন্ধন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার পরে এটার উস্কানি বেশি হয়েছে।

আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, গত বছরের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলা হয়েছে। সেখানে আমি ২০ মিনিটের মধ্যে যাই এবং বিভিন্ন অফিসারকে নিয়ে প্রথমে আর্জেন্টাইন নাগরিকসহ কয়েকজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে আসার সময় বিস্ফোরনে আমাদের দুজন অফিসারকে হারাই। এরপর আমাদের অভিযানের ধরনে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়। তারপর শুধু সাফল্যের ইতিহাস। কল্যাণপুর, সীতাকুণ্ড, মিরেসরাই, সিলেটসহ সারাদেশে সফলতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এরমধ্যে দুভার্গ্যজনক ভাবে সিলেটে র‌্যাবের আজাদসহ দুজন সহকর্মীকে হারাই। আমার জীবন দিয়ে মানুষের জীবনকে রক্ষা করি। কিন্তু দুঃখ যখন আমাদের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যারা প্রশ্ন তুলে তারা জ্ঞানপাপী। জেগে জেগে ঘুমায়। একজন জঙ্গি যখন সুসাইডাল ভেস্ট নিয়ে, কিংবা দশ কেজি বোমা বহন করে তখন কি করা।’

এরপরও আমরা কল্যাণপুরসহ বিভিন্নস্থানে জীবিত সক্রিয় জঙ্গি আটক করেছি বলে মন্তব্য করেন নগর পুলিশ প্রধান।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে জনগণের মনে কোনো শঙ্কা দেখিনি। শঙ্কা ছিলো আমাদের মনে। সরকারের মনে। রাত ১১টায়ও হাজারো মানুষের ঢল ছিলো হাতিরঝিলে। আমরা তাদেরকে বের করে দিইনি। কারণ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির অবাধ পালনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের শক্তি হারিয়ে যাবে। এতে অপশক্তিও স্থান পাবে না।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধর্মকে বিকৃতিভাবে উপস্থাপনে বিপত্তি ঘটে। মূলত ধর্মান্ধতা থেকেই মৌলবাদের সৃষ্টি। আর সেখান থেকে জঙ্গিবাদ। এটা নির্মূলে সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক এই তিনটি সমস্যার মূলে হচ্ছে সমাজ। আমরা দেখেছি টেকনাফে এমন ব্যক্তি নাই যিনি ইয়াবা কোথায় বিক্রি হয় সেসম্পর্কে একটা শিশুও জানে। মূলত আমরা বেকারত্ব দূর করতে পারিনি বলেই তরুণরা মাদক ব্যবসার মতো ভয়ঙ্কর পথে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তবে এটা শুধু প্রান্তিক শ্রেণির সমস্যা তাও নয়। এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্রন্ত আমরা মাদক নিয়ে ধরা পড়তে দেখেছি। জঙ্গিবাদেও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের আমরা দেখি। তাই সন্ত্রাসীরা যাতে রাজনৈতিক প্রশ্রয় না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সামাজিকভাবেও তাদের প্রতিহত করতে হবে।

কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির সরকারি সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সরকার কওমী মাদ্রাসা স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করি। দেশের ৬৪ হাজার গ্রামে একটি করে মাদ্রাসা থাকলেও ৬৪ মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা থেকে বছরে ৬/৭ লাখ শিক্ষার্থী বের হয়। তাদেরকে পেশাগত ক্ষেত্রে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনলে স্বীকৃতি দিতে হবে। এখন যখন কওমীর সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হল তখন সিলেবাসের উপরও সরকারের একটা নিয়ন্ত্রণ আসবে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে একটি ছেলে যা শিখে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সিলেবাসেও সেসব বিষয় কমবেশি অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।

দৈনিক আমার কাগজ নামের একটি পত্রিকা এই সেমিনারের আয়োজন করে। পত্রিকাটির সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও ফেনী পৌর মেয়র আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সালাউদ্দিন মাহমুদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ফজলুল হক ভূঁইয়া রানা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451