অনলাইন ডেস্কঃ
দেশের সব কারাগার, তার আশেপাশের এলাকাসহ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সুপারদের জরুরি নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বুধবার সকালে পাঠানো ওই নির্দেশনার বলা হয়, আগে থেকেই হুমকি আছে এমন এলাকাসহ স্পর্শকাতর সব এলাকা ও স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির রায় কার্যকরের পর যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে; সেজন্যই এ ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিয়েছে কারাকর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও বড় ভাই দেখা করেন। সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট সময় ধরে তারা মুফতি হান্নানের সঙ্গে কথা বলেন।
কারাগারের একটি সূত্র বলছে, বুধবার রাতেই এই তিনজনের ফাঁসি এক সঙ্গে কার্যকর করা হবে। এজন্য মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। তিন জন জল্লাদকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের জন্য এরই মধ্যে মহড়া হয়েছে। আর শীর্ষ জঙ্গি নেতা হান্নানকে রাখা হয়েছে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হিমেল নামের কনডেম সেলে।
কারাগারটির সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার দায়ে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে কাশিমপুর কারাগারে। আরেক আসামী দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের দণ্ড কার্যকর করা হবে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দু’জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কারাগার ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ।