ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় তরমুজ
ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত ও অলস সময় পার করছেন দোকানে বসে। এতে মূলধনের টাকা না উঠায়
দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
২৯ চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা। চারিদিকে খাঁ খাঁ রৌদ্র। মৌসুমি ফল
হিসেবে তরমুজ সকল বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। পেট শীতল রাখতে ও সুস্বাদু ফল তরমুজ।
ভিটমিনেরও কমতি নেই। পরিশ্রমি শরীরে ও ক্লান্তি দূর করণেও ফলের মধ্যে এ তরমুজ অন্যতম। পিপাসা
নিবরণের জন্যও তরমুজ কার্যকরী ফল। উপজেলা সদর নজিপুর পৌর শহরের নজিপুর বাসস্ট্যান্ড ধামইরহাট
রোডের পাশে কয়েকটি তরমুজের দোকান। ক্রেতা শুন্যতায় দোকানীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন ও চোখে-
মুখে চরম হতাশার ছটা ! ক্যামারায় ফটো ধারণ কালেই এক ব্যবসায়ী দুর্বল কণ্ঠে বলে উঠলেন-
“সাংবাদিক ভাই। সারাদিনের ব্যবসা শেষে বাড়ি ফিরে বউয়ের গালি খেয়েই পেট ভরে যায়। ভাত আর
পেটে ঢোকে না। কারণ, দুঃখের কথা কেমনে কই ! ভাইরে… ঋণের বোঝা কেমনে টানবো।” নজিপুর
বাসস্ট্যান্ডের তরমুজ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান (৫২), টগোর হোসেন (৩৫) ও ইমরান হোসেন (২৫)
জানায়, বরিশাল থেকে তরমুজ আমদানি করা হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রকারভেদে সাড়ে
৫কেজি থেকে প্রায় ১৪কেজি পর্যন্ত। প্রতিকেজিতে তরমুজ ২৫ থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি হলেও
ক্রেতা শুন্যতায় চরম দুঃচিন্তায় রয়েছেন। তরমুজ ব্যবসায়ীরা আরো জানান, প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি
তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে। এতে সংসারের ব্যয় ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে।
সপ্তাহ জুড়েও মূলধন উঠছে না। সারাদিন ব্যবসার পর রাতে বাড়ি ফিরে বউদের গালি খেতে হয় এমন
মন্দা ব্যবসার কারণে। গত বছর এর চেয়েও বেশি দামে তরমুজ বিক্রি হলেও ক্রেতাদের সমগম ছিল ব্যাপক।