সেলিম হায়দার,তালা : নদীর ওপর অর্ধেক ব্রিজ, আর বাকি অর্ধেক বাঁশ ও কাঠের সাঁকো।
দুর্ভোগের শিকার হতে হয় প্রতিদিন, তবুও ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হয় হাজার-হাজার মানুষ।
এমনই বিড়ম্বনার চিত্র দেখা গেছে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ও পাইকগাছা
উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে শুধুমাত্র একটা ব্রিজের অভাবে।
তালা উপজেলার খেশরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদ নব্বয়ের দশকে ভরাট হয়ে সরু
খালে পরিণত হয় । ১৯৯৮ সালে খেশরা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান এমএম ফজলুল হকের
উদ্যোগে এখানে একটি ব্রিজ তৈরি হয় । সম্প্রতি সময়ে সরকারের কপোতাক্ষ খনন ও পাখিমারা
টি আর এম প্রকল্পের আওতায় এটি পুনখনন করা হয় এবং এর ফলে ব্রিজের পিলারগুলো দূর্বল হয়ে
পড়ে। বর্ষা মৌসুমে প্রচ- পানির ¯্রােত ও জোয়ারভাটার প্রভাবে ব্রিজটির একাংশ এক সময়
ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে জনসাধারণের দুর্ভোগ শুরু হয়, আর এখনও তা চলছে।
ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পর এলাকাবাসীর উদ্দোগ্যে সেই অংশে বাঁশ-কাঠ দিয়ে
সাঁকো তৈরি করে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। কিন্তু তাও প্রবল ¯্রােতে
শেষ রক্ষা হয়নি, কিছু দিন আগে ভেসে যায় বাঁশ-কাঠের সাঁকো অংশটি। গ্রামবাসীদের
সহায়তায় আবার চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটির অভাবে এ পথে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, নারী-
পুরুষ, ও রোগীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসী দ্রুত এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান ।
খেশরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহিন বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত কাঁটিপাড়া,
বাঁকাবাজার, পাইকগাছা, আশাশুনি ও সাতক্ষীরায় যেতে হয় এবং দরকারী পণ্যসামগ্রী আনা-
নেওয়ার প্রয়োজন হয় কিন্তু ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ।
শাহজাতপুর গ্রামের মুদি দোকানদার আবুল কালাম জানান, ব্রিজের অভাবে দোকানের মালামাল
আনতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এবং পণ্যের দাম অনেক বেশি পড়ে যায়।
এখানকার একজন গ্রাম্য ডাক্তার বলেন, ব্রিজ না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স বা অন্য দ্রুতগামী
যানবাহন আসতে পারে না যে কারণে গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে সময়মত সাতক্ষীরা সদর
হাসপাতালে ও পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না ।