অনলাইন ডেস্কঃ
হেল্প লাইনের মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ মার্চ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়।
ওই অভিযোগ নিয়ে প্রথম শুনানি হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় শুনানি হয় ৯ মার্চ। দ্বিতীয় শুনানিতে ভোক্তার পক্ষ থেকে বাংলালিংকের কাছ থেকে তাদের হেল্প লাইনের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চেয়ে ১৯ মার্চ আবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
১৯ মার্চ বাংলালিংক তাদের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শুনানি শেষে তাদের এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. আবদুল মজিদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা আহম্মদ আলী মিনু নামের এক বাংলালিংক গ্রাহক গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৮টার সময় বাংলালিংকের হেল্প লাইনের নম্বরে কল করেন। কলটি ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ধরে রিং বাজতে থাকার পরেও ও প্রান্ত থেকে কেউ কল রিসিভ করেনি।
অভিযোগকারী বলেন, ‘পরে আমার মোবাইলের ব্যালেন্স থেকে ৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা চার্জ কাটা হয়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি টাকা খরচ করে কেন সেবা পেলাম না?
আমি পরে তাদের (বাংলালিংক) সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো সমাধান দেয়নি। তারা জানায়, তাদের নাকি টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। অথচ তারা একটি টিভি বিজ্ঞাপন করেছিল যে ১০ মিনিটের মধ্যে সেবা প্রদান করবে। তাহলে আমাকে কেন এক ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড অপেক্ষা করিয়েও সেবা দিল না।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জরিমানার ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। অভিযোগকারীর পাওনা ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ছয় হাজার ২৫০ টাকা দেওয়ার জন্য আজ বুধবার আহম্মদ আলী মিনুকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকায় আজ টাকা নিতে পারেননি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার টাকাটা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।