মোঃ শরীফ হোসেন,চাঁদপুর জেলা : চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সফল অভিযানে পিরোজপুর থেকে অপহরণের ৫ দিনের মাথায় মা ও তিন সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপহরণকারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার ছোট আমতলা গ্রামের মোঃ নাউস মিয়ার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী পারভীন আক্তারের সাথে মোবাইলে রং নাম্বারের মাধ্যমে এক মাস পূর্বে চাঁদপুরের রবিন নামে এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। গত ১৫ মার্চ রবিন পারভীন আক্তারকে তিন সন্তান সহ সুকৌশলে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে পারভীনের স্বামী মোঃ নাউস মিয়া ও তার বড় ভাই ইউনুছ খান পারভীনের গ্রামের বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ-খবর নিয়ে পারভীন ও তার সন্তানদেরকে কোথায়ও খুঁজে পায়নি। ১৭ মার্চ পারভীনের ভাসুর মোঃ ্ইউনুছ খানের কাছে রবিন নামক যুবকটি মোবাইল করে পারভীন ও তার সন্তানদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবী করে। পারভীন নিখোজের পর তার ভাসুর ইউনুছ নাজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে। যখন পারভীনের নাম্বার থেকে কল করা হয় তখন ওই নাম্বারটি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাজিরপুর থানা পুলিশ তাদেরকে চাঁদপুরে রাখা হয়েছে বলে সনাক্ত করে। পরবর্তীতে ইউনুছ খান তার ছোট ভাইয়ের ও শিশুদেরকে উদ্ধারের জন্য চাঁদপুরে ছুটে আসেন। অপহরণকারী রবিন ১৯ মার্চ সকাল ১০টায় ও সকাল সোয়া ১১টায় ২ বার মোবাইল করে মুক্তিপণের ২ লাখ টাকা দাবী করে। টাকা দেওয়া না হলে এই চারজনকে হত্যা করারও হুমকি দেয়। ইউনুছ খান চাঁদপুর এসে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা অপহরণের বিষয়ে পুলিশ সুপার সামছুন্নাহারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপর তদন্ত ও উদ্ধারের জন্য দেয়া হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আহছানুজ্জামান লাবু ও সহকারী উপ-পরিদর্শক রিপন চন্দ্র দে ২ দিন ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহৃত পারভীন আক্তার ও তার সন্তানদের সনাক্ত করে। ২০ মার্চ সোমবার রাতে শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকার মোঃ আলীর বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত পারভীন আক্তার তার কন্যা জিনিয়া আক্তার (১২), জুঁই (৯) ও সাকিবুল (৫) কে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী রবিন পালিয়ে যায়। গতকাল ২১ মার্চ চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার হওয়া পারভীন ও তার সন্তানদেরকে পিরোজপুরের নাজিরপুর থানায় পাঠিয়েছে।