রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

নড়াইলের সড়ক-মহাসড়কগুলো এখন উঠোনবাড়ি ! ঝুঁকিপূর্ণ যানচলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

 

শরিফুল ইসলাম নড়াইল প্রতিনিধি ঃ

মুশুরিসহ ডাল জাতীয় ফসলের দখলে কালনা-লোহাগড়া-নড়াইর-যশোর সড়ক-

মহাসড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাগুলো। সড়ক ও জনপথের ১৭০ কিলোমিটার এবং

এলজিইডির ২ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার পাঁকা ও কাঁচা সড়কের বেশির ভাগে

বিভিন্ন মওসুমি ফসল শুকানো হচ্ছে। প্রায় ছয়মাস যাবত এসব সড়কে ফসল

শুকানো এবং মাড়াইসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়। এতে

সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার

জয়পুর এলাকায় সড়কে গম শুকানোর সময় মোটরসাইকেল পিছলে পড়ে

দুর্ঘটনায় এক আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় অপর আরোহী আহত হন।

এছাড়া সড়কে ফসল শুকানোসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে দুর্ঘটনায়

গত তিন বছরে শতাধিক যাত্রী ও পথচারী আহত এবং অন্তত পাঁচজন পঙ্গুত্ববরণ

করেছেন বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নড়াইল জেলা শাখার

সভাপতি সৈয়দ খায়রুল আলম। তবুও থামছে না সড়ক-মহাসড়কে ফসল

শুকানোসহ মাড়াইয়ের কাজ। চলতি বছরের ১৯ মার্চ (রোববার) সন্ধ্যা ৭টার

দিকে মালিবাড় মোড়ে কলাইয়ের (ডাল) স্তূপের ওপর পিছলে পড়ে দুর্ঘটনায়

আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী লোহাগড়ার আমাদা আদর্শ কলেজের

প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম।

বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা জানান, চাকায় এবং বিভিন্ন

যন্ত্রাংশে ফসল জড়িয়ে যানবাহনগুলোর যেমন ধীরগতি হচ্ছে, তেমনি

দুর্ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে বাইসাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল,

প্রাইভেটকার ও অটোরিক্সা চলাচলের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি

(মার্চের প্রথমে) লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা-আমাদা- লুটিয়া সড়কে

পদ্মবিলা এলাকায় খেসারি কলাই (ডাল) মাড়াইয়ের প্রতিবাদ করায়

ভ্যানচালকসহ এক যাত্রীকে বেদম মারধর করেন পদ্মবিলার এক কৃষক। এছাড়া

অন্যান্য সড়কেও প্রতিনিয়ত স্থানীয় কৃষকেরা পথচারী ও যাত্রীসাধারণের সঙ্গে

অশালীন আচরণসহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কে খেসারি, মুশুরি, ধান, গম,

সরিষা, ধনে, তিলসহ অন্যান্য ফসল মাড়াইয়ের কারণে এসব ফসলের মধ্যে ছোট

ছোট পিস, খোয়া, মাটি, বালিসহ বিভিন্ন ময়লা-অবর্জনা মিশে যাচ্ছে।

এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, ইদানীং দেখতে পাচ্ছি জাতীয় ও

আঞ্চলিক সড়কগুলোর ওপর স্থানীয় কৃষকেরা কলাই (ডাল জাতীয়), জব ও গম শুকাতে

দিচ্ছে। এতে কৃষকদের ফসল শুকানোর কাজ হলেও, আমাদের স্বাভাবিক যানবাহন

চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনারও কারণ হয়ে থাকে। আমরা

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে সড়কে ফসল

শুকানো থেকে কৃষকদের প্রতিহত করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451