গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত
হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি মাও.আব্দুল হান্নান মুন্সির
মা রাবেয়া বেগম বলেছেন, আমার ছেলে মুফতি হান্নান
সরকারের কাছে অপরাধী, আমার কাছে না। সরকার তাকে যে
শাস্তি দেবে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু
আমাদের নিরাপরাধ মানুষ গুলোকে যেন হয়রানী করা না হয়।
আমার ছেলে মুফতি হান্নান কি কর্মকান্ড করেছে তা
আমি জানি না। তবে আমার সামনে সে কখনো কোন
খারাপ কাজ করেনি। গতকাল গোপালগঞ্জ জেলার
কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে মুফতি হান্নানের
বাড়িতে গেলে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওই বাড়িতে মুফতি হান্নানের স্ত্রী রুমা বেগমের সাথে
কথা হলে তিনি তার স্বামীর সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে
রাজি হননি। তবে তিনি জানান, তার ৪ সন্তান রয়েছে। এর
মধ্যে ২ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে। ২ মেয়ে নিয়ে তিনি
গ্রামের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ২ মেয়ে গ্রামের
মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। বড় ছেলে যশোর কলেজের
ছাত্র। ছোট ছেলে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ছে বলে
তিনি জানান। তবে ছেলে মেয়েদের মধ্যে কে কোন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ও ক্লাসে পড়ে তা তিনি জানাতে পারেননি।
হিরণ গ্রামের শহিদুল ইসলাম মুন্সি ওরফে সদর আলী বলেন,
মুফতি হান্নানের জঙ্গি তৎপরতার কারণে আমাদের হিরন
গ্রাম আজ কলংকিত হয়েছে। তার জন্য মুন্সি বংশের
লোকজনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভয়ে তটস্থ থাকে। তার ফাঁসির
রায় দ্রুত কার্যকর করা হলে আমরা কলংক থেকে মুক্তি পাব।
পাশাপাশি প্রশাসনও আমাদের প্রতি সু-দৃষ্টি দেবেন।
মুফতি হান্নানের সহপাঠী চায়ের দোকানদার আবুল বশার
বলেন, মুফতি হান্নান আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ার জনসভা স্থলে
২টি বোমা পুঁতে ছিলো। এছাড়া সে একের পর এক
জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছে। তাঁর মৃত্যুদন্ড দেখে যেন বিপথ
গামীরা এ পথ থেকে সরে আসে। মুফতি হান্নানের
সহপাঠী হিসেবে নতুন প্রজম্মকে এ আহবান জানাই।
জেলা পরিষদ সদস্য ও কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের
সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু
বলেন, মুফতি হান্নান আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল। আমরা
চাই না ফাঁসির রায় কার্যকর হবার পর ওই কুলাঙ্গারের লাশ
যেন কোটালীপাড়ায় না আনা হয়। ওর লাশ যদি
কোটালীপাড়ায় আনা হয় তা হলে আমরা
কোটালীপাড়াবাসি প্রতিহত করবো।