শেখ হুমায়ুন হক্কানী গাইবান্ধা থেকে ঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন
বাদিয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মাহামুদা আক্তার অপহরণের
প্রায় দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও মামলার বাদীকে
জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে আসামীর লোকজন। এমতাবস্থায় তারা চরম
নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি
ইউনিয়নের রিফাইতপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মজিদুল ইসলামের মেয়ে মাহামুদা
আক্তার(১৩) পুরাতন বাদিয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
স্কুলে যাতায়াতের পথে তাকে উত্যক্ত করতো প্রতিবেশী রিফাইতপুর গ্রামের
আব্দুর রহমানের বখাটে ছেলে মমিনুল ইসলাম। একপর্যায়ে বখাটে মমিনুল ও
তার সহযোগীরা গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় স্কুলের গেট সংলগ্ন
এলাকা থেকে মাহামুদা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ঘটনা জানতে
পেরে মাহামুদার অভিভাবকরা মেয়েকে ফেরৎ চাইলে বখাটে মমিরুলের পিতা
আব্দুর রহমান ও পরিবারের লোকজন অপহৃত মাহামুদাকে ফেরৎ দেয়ার
প্রতিশ্র“তি দিলেও নানাভাবে তালবাহানা করতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে
মাহামুদার পিতা গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে
মমিনুলের দুই চাচা শহিদুল ও দুলাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে বাদিয়াখালির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য শফি এর মধ্যস্থতায় অপহৃতা
মাহামুদাকে ফেরৎ দেয়ার পুনরায় প্রতিশ্র“তি দিলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
কিন্তু তারপরও মেয়েকে ফেরৎ না পেয়ে মজিদুল ইসলাম গত ২৬ ফেব্র“য়ারি
মমিনুল ইসলাম, মতিউর রহমান, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান ও মমেনা
বেগমসহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
আইনে মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকেই একমাত্র মমেনা বেগম ছাড়া অন্যান্য বাড়ি থেকে
পালিয়ে যায়। তাদের নিকটাত্মীয় রিফাইতপুর নারকেল তলা গ্রামের মোজদার,
আশরাফ ও আমিনুল এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মামলার বাদী মজিদুল ইসলাম ও
তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় তারা এখন চরম
নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।