আব্দুর রহিম পলাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ র্যাবের সদর দফতরে জঙ্গি
হামলার ঘটনার পর দেশের কারাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কবার্তা জারি
করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কিন্তু সতর্কবার্তা জারির পর জনবল সঙ্কটে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। যেখানে অতিরিক্ত
বন্দীদের চাপে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হয় কারারক্ষীদের। আবার বিশেষ
সতর্কতায় সমস্ত কারারক্ষীদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারে দন্ডপ্রাপ্ত ও
বিচারাধীন মোট ১২ জনসহ ৯৮৮ জন আসামি রয়েছে। যা ধারণ ক্ষমতার প্রায়
চারগুণ। তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে কারাগারটিতে মোট জনবল প্রয়োজন ১০০
জনের। সেখানে জনবল রয়েছে মাত্র ৩০ জন। এছাড়া কারাগারের বাইরে সীমানা
প্রাচীর না থাকায় দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারারক্ষীদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার শাহ আলম জানান, ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদর দপ্তরে জঙ্গি হামলার পর জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারে
প্রবেশ পথে দুই বার তল্লাশী চালানো হচ্ছে। এছাড়া কারাগারের আশপাশে কোন
সন্দেহভাজন ব্যক্তি যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কারারক্ষীর সংখ্যা কম হওয়ায় কারাগার ও এর আশপাশে নিরাপত্তার অভাব
রয়েছে। এখানে জনবলসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা জরুরী। এদিকে সীমান্ত
এলাকার একটি মাত্র সোনামসজিদ উমেগ্রেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান
জানান, সতর্ক অবস্থানে থাকার ব্যাপারে লিখিতভাবে নির্দেশনা এসেছে। কোন
জঙ্গি বা সন্দেহভাজন লোক যেন ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপার করতে না পারে সে
বিষয়ে নজরদারিসহ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ
সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, র্যাব সদর দপ্তরে হামলার পর ঢাকা থেকে
মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাওয়ায় জেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা
হয়েছে। গোয়েন্দাদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশি টহল জোরদার করা
হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে পুলিশের একাধিক টিম
মোটরসাইকেলে অলিগলিতে তল্লাশী করছে। এছাড়া প্রতিটি থানা ও পুলিশ
ফাঁড়ির নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সকল পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে
থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।