তামাক চাষী জলিল জানান, তামাক চাষে তেমন একটা সার লাগেনা। খাটুনি কম অল্প টাকায় অধিক জমিতে চাষ করা যায়। অধিকাংশ খরচ তামাক প্রক্রিয়াজাতকরন কোম্পানির প্রতিনিধিরাই দিয়ে থাকেন। অন্য ফসলে খরচ বেশী। এটা তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানি এটা ক্ষতি ,অল্প খরচে বাড়তি আয়ের জন্য এবার জমিতে তামাক আবাদ করেছি।
মুন্সীগঞ্জ সরকারী বক্ষব্যাধী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মির্জা মো: ইদ্রিস আলী বলেন, তামাকজাত দ্রব্য সেবন বা ব্যবহারে হৃদরোগ, ফুসফুসে কিউবেটি এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। রোধে শুকানো তামাক পাতার ঝাঁজ শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সিভিল সার্জন ডা: মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তামাকের আগাগোড়া সবটাই ক্ষতিকর। এটা ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনের জন্যও ক্ষতিকর। রয়েছে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও। বক্ষব্যাধী রোগের অন্যতম কারন হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য। কৃষকের অন্যান্য সব ধরনের ফসল ফলাতে পরামর্শ প্রদান করা এবং তামাক চাষের ব্যাপারে চাষীদৈর নিরুৎসাহিত করা একান্ত প্রয়োজন। সামাজিকভাবেও কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে হবে।