সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭
  • ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’নামের সামরিক অভিযানের দিনটিকে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।শনিবার সংসদ অধিবেশন শুরুর পর প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।

দিনটিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্য দরকারি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব আনা হয়। কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় তিনি এ প্রস্তাব আনেন। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য যেকোনো সংসদ সদস্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব আনতে পারেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শনিবার বিকেল ৩টা ১১ মিনিটে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।এসময় স্পিকারের অনুমতিক্রমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় ২৫ মার্চের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।

প্রস্তাবে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির জীবনে ভয়াবহ দিন। সেই কালো রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাপুরুষের মতো পাশবিক হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন সার্চলাইট’নামের সামরিক অভিযানে সংগঠিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মম গণহত্যা।

তাই অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে দিনটি শুধু আমাদের কাছেই নয়, বিশ্বের গণহত্যা ইতিহাসেরও এক উদাহরণযোগ্য স্মরণীয় দিন।সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ২৫ মার্চ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ও গবেষণা তুলে ধরেন।

গণহত্যার বিপরীতে জোরালো আওয়াজ তুলে ভবিষ্যতে যেনো এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য দিবসটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এসময় তিনি ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব দেন।সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে চাইনি।

তাই যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কথা বলেছেন। বাকি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করার জন্য স্পিকারের সহায়তা চান তিনি।পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি বলেন, খালেদা জিয়া গণহত্যার সংখ্যার বিভ্রান্তি করছেন।

অপরাধীদের বাঁচাতে নানারকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দোসরদের মূল উন্মোচন করা হবে। যেনো ভবিষ্যতে ২৫ মার্চের মতো ঘটনা না ঘটে। তাই গণহত্যা দিবসের প্রস্তাব উত্থাপন করা যেতে পারে।দিবসটি নিয়ে সংসদে এখনো আলোচনা চলছে।

সংসদ সদস্যরা দিবসটিকে ঘিরে তাদের অভিমত প্রকাশ করছেন।সবশেষ বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন স্পিকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451