স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঘর আলো করে যে চঞ্চল মেয়েটির দুষ্টমি আর খুনসুটি মা বাবার ভাল লাগার
অবলম্বন ছিল সাড়ে তিন বছরের সেই সিনহা সায়রি সাবার স্থান এখন
ভারতের এ্যাপোলো ক্যান্সার হাসপাতাল। মাত্র সাড়ে তিন বছরে সাবা মনি
ক্যান্সারের মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাবা জামমিম
হোসেন ঝিনাইদহ শহরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরী
করেন। এক বছরে মেয়ের চিকিৎসায় ব্যায় করেছেন চার লাখ নব্বই হাজার
টাকা।
এই চিকিৎসা ব্যায় করতে তাকে ভিটেবাড়ি ছাড়া সব কিছুই বিক্রি
করতে হয়েছে। ভারতের এ্যাপোলো ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা:
রেবোতি রাজ জানিয়েছেন দুই বছর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলে
সিনহা সায়রি সাবার উন্নতি ঘটতে পারে। বছরে যদি পাঁচ লাখ টাকা
চিকিৎসা ব্যায় লাগে তবে দুই বছরে সাবার চিকিৎসার জন্য দরকার দশ লাখ
টাকা। এতো টাকা সাবার হতদরিদ্র বাবা জামমিম হোসেনর পক্ষে যোগাড়
করাও সম্ভব নয়। তবে পৃথিবীতে অসম্ভব বলে মানুষের কাছে কিছুই নেই।
আমাদের সমাজে অনেক দানশীল ও দয়ালু মানুষ আছেন, যারা মানুষের কল্যানে
নিজেকে বিলিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। অসহায়ত্ব দেখে তাদের মন
কেঁদে ওঠে। তারা আছেন বলেই সমাজের হতদরিদ্ররা বিভিন্ন সময়
চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে নতুন জীবন লাভ করে থাকেন। আশা করা যায়
সাবার চিকিৎসায়ও ওই সমস্ত হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন।
চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: একাউন্ট নাম্বারঃ
০৪৫৩২০১০০০০৫৫৭৪৩, ইউ সি বি ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা, মো জামমিম
হোসেন
বিকাশ নাম্বারঃ ০১৭৪৩০৩৩০৩০, ভারতে যোগাযোগঃ ০০৯১৯৫৬৪৪১৪৭৬৪