বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

নেই নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা,বাড়ছে অবৈধ রিক্সা।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলার প্রতিদিন ডটকমঃ 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্যমতে, ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে প্রতি বছরই গড়ে সাড়ে ৮ হাজার করে রিক্সা নিবন্ধিত হয়েছে ঢাকা জেলায়। তবে, ২০০৮-০৯ সাল থেকে বৃদ্ধির এ হার কমতে শুরু করে। ঢাকা জেলায় ১৪-১৫ সালে নিবন্ধিত রিক্সার সংখ্যা ছিল ২ লাখের উপরে। আর, ১৯৯০ সালে থেকে নিবন্ধন দেয়া বন্ধ রেখেছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। সর্বশেষ নিবন্ধিত রিক্সার সংখ্যা ৮০ হাজার। কিন্তু থেমে থাকেনি রিক্সার বৃদ্ধি। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা এখন ৫ লাখের উপরে।

চোখ বন্ধ করে ঢাকা নগরীর রাস্তার কথা চিন্তা করলে শহরটি দেখা মানুষের মানসপটে যে দৃশ্যটি ভেসে উঠবে তাতে রিক্সা থাকবে না- এমনটি হবার কথা নয়।

রাজধানীর ইতিহাস আর সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এ বাহনটি, ৯০ এর দশকেই ছাড়িয়েছে নির্ধারিত সংখ্যা। সরকারের কাছে পরিসংখ্যান না থাকলেও, আনুমানিক নিবন্ধনের চেয়ে নগরে চলা ৬ গুনের বেশি রিক্সা যানজট তৈরির একটি বড় কারণ। বাসের ড্রাইভাররা অভিযোগ করে জানান, ‘রিক্সার জন্য গাড়ি চালানো যায় না। তাদের জন্যই জ্যাম সৃষ্টি হয়।’ তবে, বাস রুটের বাইরে সংকীর্ণ সড়ক এবং অলিগলিতে চলাচলের জন্য এ বাহনই একমাত্র উপায় বলে জানালেন যাত্রীরা।

যানজট নিরসনে সরকারের পরিবহন পরিকল্পনা কৌশল ২০০৫-২০ এ নগরের ব্যস্ত কিছু সড়ক থেকে রিক্সা তুলে দেবার পরিকল্পনা ছিল। এর আলোকে কিছু ভিআইপি রোডে রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণও করা হয়। কিন্তু পরবর্তী ২০১৫-২০৩৫ সালের সংশোধিত পরিবহন পরিকল্পনা কৌশলে রিক্সা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আর কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার উল্লেখ নেই। এদিকে, রিক্সা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন দক্ষিণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র।

দক্ষিণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘রিক্সা নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে। অবৈধভাবে রিক্সা দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলছে সেসব জায়গার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। কিন্তু সেটা এই মুহূর্তের জন্য নয়।’ ঢাকা শহরে যে পরিমাণে নিবন্ধনকৃত রিক্সা রয়েছে তার থেকে কয়েকগুন বেশি রয়েছে নিবন্ধনহীন রিক্সা। এই রিক্সাগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ কাঠামো তৈরি করতে হলে, সবার আগে প্রয়োজন যন্ত্রচালিত এবং যন্ত্রহীন যে যানবাহন রয়েছে, তাদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো উন্নয়নই শুধু নয়, এই প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন, সুনির্দিষ্ট এবং পরিকল্পিত পরিকল্পনার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, রিক্সাগুলোকে যত্রতত্র চলাতে না দিয়ে তাদের জন্য যদি একটি নির্দিষ্ট লেন করা যায় তাহলে মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451