হেলাল শেখঃ
সংবাদ মাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা-সমাজ, দেশ ও জাতির বিবেক। কলম সৈনিক, সাংবাদিকরা
সবার জন্য চিন্তা করেন, সবার দাবি পুরুন করতে সংবাদ প্রকাশ করেন। আর কোনো একটি
ভুলের কারণে সাংবাদিকের উপর হামলা, মামলা করেন কিছু পুলিশ।
বিশেষ কোনো সম্মানি বেতন ভাতা দেওয়া হয় না সাংবাদিকদের। অনেক সাংবাদিক নিজের
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু সেই সকল সাংবাদিকদের জন্য পুলিশ
নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো মামলায় দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে! এমন নজির অনেক
আছে। আর দাবিকৃত টাকা না পেলে-পুলিশ একাধিক মামলা দেয় ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধিঃ সাংবাদিক
নাজমুলের বিরুদ্ধে মামলাসহ এরকম হয়রানিমূলক মামলা দেশের অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
হচ্ছে। সাংবাদিক কোনো চোর বা ডাকাত নয় যে, তাকে নির্যাতন করবে পুলিশ।
সাংবাদিককে পুলিশই চোর ডাকাত বানিয়ে মামলার আসামি করেন। জানা যায়, শুধু ঢাকা
নয়, সারা দেশের সাংবাদিকরা অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।
সাংবাদিক সমাজের কাছে প্রশ্নঃ আর কত সাংবাদিক পুলিশি নির্যাতন, হামলা, মামলা ও
হত্যার শিকার হবে? নিজেদের জন্য এবার প্রতিবাদী হতে হবে সাংবাদিকদেরকে। “দুনিয়ার
সাংবাদিক এক হও” অনেকেই বলছেন, সাংবাদিককে পুলিশ কেন গ্রেফতার করে? আর
গ্রেফতার করেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় কেন? যে পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিককে
গ্রেফতার করা হয়, সে পুলিশ কি ধুয়া তুলশির পাতা?
সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করছেন সাংবাদিকরা এবং ৪৮ ঘন্টার
মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদাকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে
রবিবার সারা দেশে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়। গত
১৯-০১- ২০১৭ ইং সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ
কর্মসূচি ঘোষণা দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের
বিশেষ প্রতিনিধি শাবান মাহমুদ। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ
প্রতিদিন সাংবাদিক ইউনিটি আয়োজিত এ মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের পাশাপাশি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সদস্যরাও অংশ নেন। এ সময় সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারসহ
সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়। দাবি জানানো হয়
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলেরও।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু সাংবাদিক নেতারা
ঢাকা জেলার কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম প্রকাশ করেন। নিন্দার বিষয়ঃ সাংবাদিক নাজমুল
হুদার বিরুদ্ধে করা প্যান্ট চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছে আদালত। ১৯
জানুয়ারি ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিকহাকিম শাহিনুর রহমান আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই দিন
ধার্য করেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠন এর প্রতিবাদে নিন্দা
জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা আর কত হবে? সরকার সাংবাদিকদের প্রতি
সুদৃষ্টি দিবে কবে ? জাতির কাছে এই ছোট প্রশ্নঃ