শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

ই-ভোটিং চায় আওয়ামী লীগ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির আব্দুল হামিদের কাছে ই-ভোটিংসহ ৪ দফা প্রস্তাব দিলো আওয়ামী লীগ।

প্রস্তাবগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রথম প্রস্তাবেই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। পরের প্রস্তাবে বলা হয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যা উপযু্ক্ত বিবেচনা করবেন, সে প্রক্রিয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

তৃতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগে সম্ভব হলে এখনই উপযুক্ত আইন প্রণয়ন অথবা অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। সময় স্বল্পতার কারণে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় যেনো তা বাস্তবায়ন হয়। চতুর্থ প্রস্তাবটি হলো, জনগণের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করতে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং চালু করা।

সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

এর আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে।

সুরঞ্জিত বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে খুশি। নির্বাচন কমিশন গঠনে তিনি সংবিধান অনুসারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হবে না।

বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এইচ টি ইমাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোহাম্মদ জমির। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এদিকে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, আলোচনায় অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ নির্বাচনে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে গেলো ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আলোচনার জন্য ২৩টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইসি গঠনে সংলাপ শুরু হয়।

২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। আসছে ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষের আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451