শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন

তাড়াশে কৃষিজমি কেটে পুকুর খনন পাল্টে যাচ্ছে তাড়াশের মানচিত্র

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

 

সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকে ঃ

তাড়াশে ধানী জমি কেটে চলছে ব্যাপক হারে পুকুর খনন প্রসাশনের ভূমিকা প্রশ্নবাদক।

এভাবে পুকুর খনন হওয়ায় খাদ্য শস্য উৎপাদন কমে যাবে । তাড়াশ উপজেলার

বিভিন্ন অঞ্চলিক ও রোডএন্ড হাইওয়ের সড়কগুলোতে সরকারী খাল বন্ধ করে

পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী

জলাবদ্ধতা। এতে অনেক জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে রাস্তারও ।

তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টনক নড়ছেনা। এতে করে দিনে দিনে পাল্টে

যাচ্ছে তাড়াশের মানচিত্র। জানা যায়, তাড়াশে সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা

করে অবাধে পুকুর খনন করে ভূমির শ্রেনী স্থায়ী পরিবর্তন করে ফেলছে

কিছু সার্থনেশী মানুষ । সরকারী আইনে ভূমির যে কোন ধরনের পরিবর্তন

করতে জেলা প্রসাশকের অনুমোদন দরকার। কিন্তু কোন প্রকার অনুমোদন

ছাড়াই আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে পুকুর খনন করেই চলছে।

নির্বিচারে এই পুকুর খননের ফলে তিন ফসলি কৃষি জমি কমে যাচ্ছে ।

নষ্ট হচ্ছে তাড়াশে জীববৈচিত্র।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম জানান, ইরি

বোরো ,ভুট্টা ,গম ,ধান ,পাট সহ সকল প্রকার আবাদি জমিতে এভাবে

পুকুর খনন মোটেই উচিত নয় । বর্ষা কালে উম্মুক্ত জলরাশিতে তলিয়ে গেলেও

সেখানে বোনা আমন ও উচু জমিতে রোপা আবাদ হয় বছর জুড়েই । জল

রাশিতে থাকে দেশিয় প্রজাতির নানা রকম মাছ । উপজেলার নি¤œবৃত জেলের

মাছ ধরে সারা বছর জীবিকা নির্বাহ করে । এখানে বিভিন্ন প্রজাতির

পাখি বিচরন করে । তাড়াশ সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ড্রেজার

মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সাবার করছে কিন্তু দেখার যেন কেহনেই।

সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলা সদর,

কাউরাইল,খুটিগাছা,মহিষলুটি,মান্নানগড়,কহিত,দিঘী সগুনা,মাগুরা সহ

অনেক মাঠে গিয়ে দেখা যায় ফসরি জমি কেটে পুকুর খনন করছেন। এ থেকে

রেহায় পায়নি রাস্তার কেনেল এবং খালও।

তাড়াশ উপজেলার কয়েক জন পুকুর খনন কারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,

ধানী জমি কেটে পুকুর খননের কারন হচ্ছে, আমার ধানের আবাদ করে খরচ না ওঠায়

হতাশ হয়েই দীর্ঘস্থায়ী লাভের আশায় প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যায়ে পুকুর খনন

করেছি। যা তিন বছর মেয়াদে মাছ চাষের জন্য পেশাদার মৎস্য চাষীরা কয়েক লাখ

টাকা লীজ মানি দিতে চাচ্ছেন। এছাড়া পুকুর চারপাড়ে পেপেঁ, কলার বাগান ও

আপেলকুল, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বৃক্ষ লাগানো যাবে।

তাড়াশের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে কৃষকের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, ধান,

আলু, রবিশস্যসহ খাদ্য শস্য উৎপাদন করতে যে পরিমানে খরচ হয় তা বিক্রি করে

উৎপাদন খরচ না ওঠায় অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পড়ছেন । দিশেহারা অনেক কৃষক

লোকসান পুষিয়ে নিতে উর্বর ধানী জমি কেটে পুকুর তৈরী করছেন

নির্বিচারে। আবার পুকুর খননে লাভ করতে আঞ্চলি সড়ক গুলোতে পুকুরের পার করতে

বন্ধ করছেন পানি প্রবাহের সরকারী খাল।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল আকতার বলেন,শ্রমিক দিয়ে পুকুর

খননের খরচ বেশী হওয়ায় কৃষক অল্প সময়ে স্বল্প খরচে এক্সেভেটর নামক

আধুনিক যন্ত্র দিযে ব্যাপকভাবে ধানী জমিতে পুকুর খনন করেছেন্ধসঢ়; ।

এদিকে এসব উপজেলার সরকারী খাল ভরাট করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হওয়ার

কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারী খাল দখল করে পুকুর খনন ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী

অফিসার (অঃদাঃ) মোহাম্মদ মুনসুর উদ্দিন জানান, সব ইউনিয়নের ভুমি

কর্মকর্তাকে দিয়ে পুকুর খননকারীদের নিষেধ করা হচ্ছে এবং তালিকা

দিতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451