প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছুদিন আগে তাঁকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৭ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমান বিজি১০১১ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটি তুর্কিমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে বিমানের ত্রুটি সারানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বুদাপেস্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে নিরাপদে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পৌঁছায়। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের ছয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি অবহেলাজনিত না নাশকতা, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে গঠিত বিভিন্ন তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে কর্মরত ছয়জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের তেলের চাপ কমে যাওয়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট (হিউম্যান ফ্যাক্টর) কারণ জড়িত ছিল।