থামছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। দুই দেশের কিছু দালালের হাত ধরে এ দেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। বিনিময়ে দালালরা মাথাপিছু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিচ্ছে। ঘটছে জিম্মি করার মতো ঘটনাও।
সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছেন, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও দালালদের যোগসাজশের কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের পর থেকে জীবন বাঁচাতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ফাঁক গলে এ দেশে অনুপ্রবেশ করা শুরু করে রোহিঙ্গারা।
জিম্মির ঘটনা উল্লেখ করে এক রোহিঙ্গা নারী জানান, বাংলাদেশে প্রবেশ করতে একেকজনের কাছ থেকে সাত হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি পুরো টাকা দিতে না পারায় তাঁর এক ছেলেকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নাফ নদীতে নৌকার মাঝি সেজে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের কিছু দালাল, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ৩০ থেকে ৪০টি পয়েন্টে সক্রিয় রয়েছে রোহিঙ্গা পারাপারে।
স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘বার্মার ওই খানেও দালাল আছে, এই খানেও দালাল আছে। বার্মার দালাল আর বাংলাদেশের দালাল ওদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। যখন সুযোগ পায় তখনই লোকগুলাকে এখানে নিয়ে আসে।’
স্থানীয় আরেকজন জানালেন, রাত ২টা-৩টার দিকে দালালরা দুই-তিনশ করে মানুষ নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করায়।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, অনুপ্রবেশের এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘নদীপথে অনেকগুলো নৌকা আছে, এ সব নৌকায় বিভিন্ন পথে আসা সম্ভব। আমরা যে পথে আসা সম্ভব সে পথগুলোকে চিহ্নিত করেছি। সেগুলোকে আমরা প্রপারলি গাইড করার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন এখানে দালাল আছে। পয়সা দিয়ে লোকজন ঢোকানোর জন্য চেষ্টা করছে।’
বিজিবি এবং পুলিশ জানিয়েছে, অনুপ্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫ জন দালালকে আটক করা হয়েছে। আর তাদের অনেককেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।