মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

যারা মোড়া পেতে বসে থাকতো আজ তারা ফোন ধরে না

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

‘আমি নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় সরকারের আহ্বান জানালেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসেননি। আমি নিজে তাকে ফোন করলাম, সকালে ধরেননি, ধরলেন বিকেলে। যারা আমাদের বাসায় এসে মোড়া পেতে বসে থাকতো, তারা আজ আমার ফোন ধরে না!’

শুক্রবার দুপুরে গণবভন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) ফোন করে বলেছিলাম- আসুন, সবাই মিলে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন করি। উনি যে যে মন্ত্রণালয় চান, এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলেও দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জবাবে উনি কী ব্যবহার করেছেন তা দেশবাসী দেখেছে। আমার সঙ্গে জঘন্য ব্যবহার করলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংলাপে সাড়া না দিয়ে নির্বাচন বানচালের নামে নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন। যেভাবে ২০০১ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে মানুষ হত্যা করেছিলেন। ৬ বছরের রাজু থেকে শুরু করে কেউ তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি। এতোকিছুর পরও উনি নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। জনগণ ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঠেকানোর নামে ৫৮২টি স্কুল পুড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্যকে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে ১৩৫ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। একাত্তরে পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতনের পর দেশের মানুষ ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার আন্দোলনের নামে এমন মানুষ হত্যা দেখেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে কেউ রেহাই পায়নি। আন্দোলনের নামে তাদের ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৫০৮ জন অগ্নিদ্বগ্ধ, ৬০০ জন আহত, ৭০ সরকারি অফিস ভাঙচুর করেছে, ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়েছে।’

আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, ‘তারা মানুষের ওপর অত্যাচার করেই ক্ষান্ত হয়নি, দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। বাংলা ভাইদের জন্ম দিয়েছে। জঙ্গিরা মিছিল করে আর পুলিশ তাদের প্রটেকশন দেয়। আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের অত্যাচার অনাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে দেবো না। এ দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেবো না। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নির্মূলে যা করার তাই করবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451