আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশের নম্বর কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার সকালে সচিবালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। এসময় শিক্ষাবিদরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটার কোনো পরিবর্তন হবে না। এটা পরিবর্তনের কোনো যুক্তি নেই, কারণ নেই। শিক্ষার্থীরা সময় কম পাচ্ছে না।’
আগামী বছর থেকে এমসিকিউ ও রচনামূলক অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতে সৃজনশীলে ছয়টির পরিবর্তে সাতটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য বাড়তি সময় শিক্ষার্থীরা পাবে।
মন্ত্রী বলেন, সকাল ১০টায় যে পরীক্ষা শুরু হবে সেই পরীক্ষার এমসিকিউ ও রচনামূলকের উত্তরপত্র পৌনে ১০টায় দেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে ওই ১৫ মিনিট সময় শিক্ষার্থীরা পাবে দুটি উত্তরপত্রে শিক্ষার্থী-তথ্য পূরণের জন্য। ফলে ওই কাজে তাদের পরীক্ষার সময় ব্যয় হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ছয়টি সৃজনশীল প্রশ্নের নিয়মে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে শিক্ষার্থীরা গড়ে ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সময় পেত। আর এখন সাতটির উত্তর করতে হলেও প্রতিটি প্রশ্নের জন্য গড়ে ২১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড সময় পাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এমসিকিউর নম্বর ছিল ৪০। সময় ছিল ৪০ মিনিট। তখন সৃজনশীলে ৯টি প্রশ্ন থেকে ৬টির উত্তর দিতে হতো। সে জন্য সময় ছিল ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। আর পরিবর্তনের ফলে এখন ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টির উত্তর দিতে হবে। সময় বরাদ্দ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে ২১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ১৪ সেকেন্ডের হেরফের কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। একই ভাবে ৭৫ নম্বরের যে পরীক্ষা হয়, তাতেও সমস্যা হবে না।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।