ই-গভর্নেন্স ও গুড গভর্নেন্স কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে দেয়া হচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। স্মার্ট কার্ড অপব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে প্রকল্পের মহাপরিচালক বলছেন অপব্যবহার ঠেকাতে মূল তথ্যভাণ্ডারকেও সুরক্ষিত করা হয়েছে।
সরকারি সেবা, অপরাধী শনাক্তকরণ, টিআইএন, ব্যাংক হিসাব, যানবাহন নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ মোট ২২ ধরণের সেবার ক্ষেত্রে এই কার্ড কাজে লাগবে। একে বলা হচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। আগামী বছরের মধ্যে সব ভোটারের হাতে কার্ডটি পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২০০৭ সালে দেশে শুরু হয় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কাজ। পরে আরো কিছু তথ্য যোগাড় করে সেটাকে রূপ দেয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে। কিন্তু পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্রটি সেবা প্রাপ্তিতে সাড়া ফেললেও কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে শুরু হয় অপব্যবহার।
কিন্তু স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে তিন স্তরে ২৫টি নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পলিকার্বনেট উপাদানে তৈরি কার্ডটির আয়ুষ্কাল অন্তত ১০ বছর। এ কার্ডকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করতে নেয়া হয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি। এটি কোনোভাবেই নকল করা সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
স্মার্ট কার্ড অনলাইন কিংবা অফলাইন দুভাবেই ব্যবহার করা যাবে। তাই সাড়ে দশ কোটি মানুষের এই তথ্য ভাণ্ডারের অপব্যবহার ও হ্যাকিং থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প মহাপরিচালক।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই ডেটা ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও মূল তথ্যভাণ্ডারে কারো প্রবেশাধিকার থাকছে না।
আগামীতে ১৮ বছরের কমবয়সীদেরও স্মার্ট কার্ড দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।