বেলগাছের নিচে ধূপ-ধুনো আর ভক্তি মন্ত্র দিয়ে সংকল্প। দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ষষ্ঠীপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এরমধ্য দিয়েই শুরু হলো দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এদিকে, দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এসব পরিচিত শব্দ আর ব্যঞ্জনা এই জনপদে বরাবরাই জানান দেয় দেবী দুর্গার আগমনকে। শুক্রবার সকাল ৮টা ২৩ থেকে ৩১ মিনিটের মধ্যে ছিল মহাষষ্ঠীর লগ্ন। পুরোহিত মন্ত্রের মাধ্যমে মহামায়াকে জানাচ্ছেন আমন্ত্রণ। আর ভক্তরা মনে-প্রাণে বরণ করে নিচ্ছেন প্রাণের দেবীকে।
পুরাণমতে, নানা আচারের মধ্য দিয়ে এদিন দেবী দুর্গাকে সংকল্প করে প্রণতি জানান ভক্তরা। মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় করেন নানা প্রার্থনা। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুল্কপক্ষে দুর্গতিনাশিনীকে পৃথিবীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হিমালয়ের কৈলাসের শিবালয় থেকে পিতৃভুম ৪ সন্তানকে নিয়ে আসেন মহামায়া। এবার তিনি আসছেন ঘোড়ায় চড়ে।
প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর যে আরাধনা চলছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। এদিকে, আবারো পূজায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
পুরাণ মতে, মহিষাসুরের মতো অশুভ শক্তির কাছে পরাজিত হন দেবতারাও। তখন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেবতাদের ক্রোধ আর, তেজের সমন্বয়ে আবির্ভাব হয় এক মহাশক্তির। যিনি বধ করেন মহিষাসুরকে, দেবতাদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দেবতালয়।