হেলাল শেখ-ঢাকা ঃ
ঢাকার সাভারে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুব দলের শাহ- আলম নয়ন নামের এক
নেতা নিহত হয়েছে। জানা গেছে,শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাভারের বিরুলিয়া
ইউনিয়নের কৃষিবিদ নার্সারির পাশে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা জানায়, নিহত শাহ-আলম নয়ন (৪২), সাভার পৌর এলাকার শহিদুল
ইসলামের ছেলে।সে সাভার পৌর- যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নিহতের ছোট
ভাই মাসুদ জানায়, মোহাম্মাদপুরের বিহারী কলোনী ভাড়া বাসা থেকে সাভার থানা
পুলিশ নয়নকে আটক করে। নয়নের বিরুদ্ধে বিএনপির হরতাল ও অবরোধে গাড়ি-ভাংচুর
এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে জানায়, আটক হওয়ারপর
নয়ন থানাতেই ছিলো। তবে তার ভাইয়ের সাথে পুলিশ তাদের দেখা করতে দেয়নি। তিনি
বলেন, রাত ৯টার দিকে নয়নের চোখ বেদে একটি মাইক্রোবাসে করে পুলিশ তাকে নিয়ে
যেতে দেখেছেন তার মা।
উক্ত নিহতের পরিবারের সদস্যরা শনিবার সকালে খবর পায় বিরুলিয়ার কৃষিবিদনার্সারির
পাশে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নয়ন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ তাকে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত
চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত নয়নের শ্যালক স¤্রাট আহম্মেদ
পারভেজ দাবি করছেন,বৃবস্পতিবার তার বোন জামাই সাভার থেকে মোহাম্মাদপুরের
বাসায় আসে। এর পরে ভোরে সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় ও (এ এস আই)
আহসান তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে নয়নকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তাদের বাসায়
থাকা নগত ৬ লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণাংকার পুলিশ লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করে।
এছাড়া তিনি আরও দাবি করেন, পরে শুক্রবার সকালে ওই এসআই তার বাবার কাছে আরও
আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন।টাকা পেলে তিনি তার মেয়ের জামাইকে ছেড়ে দিবেন।
এসআই তন্ময়কে আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হলেও পুলিশ নয়নকে না ছেড়ে আরও দশ লাখ
টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অবশেষে তাকে ক্রসফায়ারেই
মেরে ফেললো পুলিশ, এই বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
উক্ত ক্রসফায়ারের ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এসএম
কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নয়ন সাভারের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার
বিরুদ্ধে সাভার থানায়, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এবং পুলিশের
উপর হামলা, অস্ত্র মামলা, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তাকে নিয়ে রাত পৌনে ৩ টার দিকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার পর তার সহযোগীরা
পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে তখন পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে নয়ন মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে
একটি সুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।