গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার
হরিনাথপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে
মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আতিকুর রহমান আতিক। গত রোববার
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে “হরিনাথপুর ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ
প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করা এবং জামায়াত জঙ্গি সংশিষ্টতার অভিযোগ”
এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
আহসানুল কবির বিটু। ওই সংবাদ সম্মেলনটি পুরোপুরি উদ্দেশ্য
প্রণোদিত, মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মনগড়া উলেখ করে বুধবার
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন এসএম আতিকুর
রহমান আতিক।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি আ’লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক উলেখ
করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে এসএম আতিকুর রহমান
আতিকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন উক্ত আহসানুল কবির
বিটু। আর পরাজিত হওয়ার পর থেকে নানাভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অব্যাহত
রেখেছেন। পাশাপাশি আতিক বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত
হন। কিন্তু মনোনয়ন না পেলেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে
দলীয় সিদ্ধান্ত ও দায়বদ্ধতা থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের
কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কৃতদোষে
হেরে গেলে সন্দেহ বশতঃ তিনি তার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং নানাভাবে ওই
প্রার্থীসহ তার অনুসারীরা নানা রকম অপপ্রচার করতে থাকেন। যার
বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত ২৬ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে তাদের
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে। ওই সংবাদ সম্মেলনে
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ডিপটিসহ অনেকের নাম উলেখ করা হলেও তারা
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
আতিক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান
সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম হাবিবুল আলম ডাফরিন উভয়ে কলেজ শিক্ষক।
সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগসহ বর্তমান সরকারের
ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে
মাদক ব্যবসা, জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম বন্ধ করার চেষ্টাকালে ওই চক্রটির
হোতা মাদক সম্রাট শাহ জুয়েল, সবুজ মিয়া, নুরে আলম সাবু জুয়া
আয়োজনের হোতা আহসানুল কবির বিটু, ফিরোজ কবিরসহ অনেকেই
তাদের এসব সামাজিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেন। তাদের ওইসব অপকর্ম ও
অব্যাহত হুমকীর মুখে একাধিকবার অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিলে
তারা আতিক ও ডাফরিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর
বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে নানা রকম হুমকী-ধামকী দিতে থাকে। তারা সংবাদ
সম্মেলনে জামায়াত জঙ্গি সংশিষ্টতার অভিযোগ এনেছেন। যা আদৌ সত্য
নয়। তাদের পরিবারের মুরুব্বীরা সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক ব্যক্তি। এছাড়া
তারা ছাত্র বয়স থেকেই ছাত্রলীগ ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি
পদে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে আহসানুল কবির বিটু
মিথ্যা ও মনগড়া কাহিনী সাজিয়ে ভুয়া তথ্যযুক্ত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন
করে গর্হিত কাজ করেছেন। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওইসব
ভূয়া তথ্য সম্বলিত প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ
জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি একেএম
হাবিবুল আলম ডাফরিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন
মিঠু, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর মোর্শেদ,
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ডিপটি, মোস্তফা কামাল, সাজু মন্ডল, সাইফুল
শেখ, জিয়াউর রহমান, শফিউল আলম মিলন, হিরু মেম্বর, শহর আ’লীগ নেতা
নির্বানেন্দু বর্মণ ভাইয়া প্রমুখ।