টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তিতে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় এক গর্ভবতী গৃহবধূর তল পেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই বিপ্লবের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জহুরা বেগমকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে টঙ্গী থানার এএসআই বিপ্লব ব্যাংক মাঠ বস্তির জহুরার বাসায় হানা দেয়। এসময় সে জহুরাকে মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। জহুরা পুলিশের ভয়ে ৫ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিপ্লব চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা জহুরার তলপেটে একের পর এক লাথি মারে এবং মারধর করে। এতে জহুরার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশের নির্মম আঘাতে জহুরার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে বলে বস্তিবাসীর অভিযোগ।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জহুরার তলপেটে আঘাত লাগার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ঢামেকে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে থানার এএসআই বিপ্লব জহুরাকে তলপেটে লাথি মারার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘জহুরা একজন মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী। তার স্বামী রানা একজন মোবাইল চোর। তাকে আটকের জন্য গিয়ে জহুরাকে ইয়াবা সেবন করা অবস্থায় পাই। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমাকে অসুস্থতার কথা জানায়। পরে আমি তাকে চিকিৎসার জন্য ২,৫০০ টাকা দিয়েছি।’