হেলাল শেখ-ঢাকা
ঢাকার সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস অবৈধ সংযোগে সরকার কোটি কোটি টাকা
রাজস্ব হারাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্র্তা,দালাল ও চোরে চোরে খালাতো ভাই বলছে এলাকাবাসী।
ঢাকার সাভার তিতাস অফিস সুত্রে জানা গেছে, সাভারে বৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে
প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি! আর এই অবৈধ এক একটি সংযোগ পেতে সংশ্লিষ্ট দালালকে ৫০ থেকে ৭০
হাজার টাকা দিতে হয়েছে বাসা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে। এখন আবার সেই অবৈধ গ্যাস
সংযোগ পাইপ জব্দ করা হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোটা অংকের টাকা দিয়ে বছরের পর বছর এইসব সংযোগ ব্যবহার করছে তারা!
এখন নজরে পড়ছে তিতাসের কর্মকর্তাদের, বিষয়টি রহস্যজনক। উক্ত এলাকার অনেকেই বলছে, এই অবৈধ
গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় তিতাস কর্মকর্তারাও অনেকেই জড়িত ছিলো,দালাল ও চোরেরা মিলেই এই
সংযোগ দিয়েছে। সাধারণ মানুষ জানেনা কোথায় গ্যাসের পাইপ ও সরঞ্জামাদি বিক্রি করা হয়? কিছু
দালাল ও তিতাস কর্মকর্তারা পাইপসহ গ্যাস ব্যবহার করার জন্য সরঞ্জামাদি দিয়ে, তারাই আবার তা খোলে
নিয়ে যাচ্ছেন। দেখবেন সাভার অফিসের সামনে খোলা আকাশের নিচে হাজার হাজার পাইপ এক স্থানে পালা
করে রাখা হয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, সারা দেশেই এ রকম গ্যাসের হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে
রমরমা কারবার করছে দালালরা।
জানা গেছে,সাভারে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট বিকাশ বিশ্বাস ও সাভার তিতাস গ্যাস
কর্মকর্তা,ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্ত্বে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে গ্যাসের কয়েক হাজার অবৈধ সংযোগ পাইপ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। উক্ত বিষয়ে সাভার তিতাস
গ্যাস ট্রার্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ধারাবাহিক
ভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নির্মুলে অভিযান চলবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি
সাংবাদিকদের বলেন,এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। এই প্রতিবেদন পর্ব ৩।