এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)
উপজেলা সংবাদদাতা ॥ বর্ষা মৌসুমের প্রারম্ভে
চুনারুঘাটের রাজার বাজার-বাসুল্লার অভ্যন্তরীণ রাস্তাটি
ভেঙেচুরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে
চুনারুঘাট সদরের সাথে গ্রামগঞ্জের যোগাযোগ
ব্যবস্থা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বর্ষা
মৌসুমের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু
চাষিরা অরেক রকমের চাষ করতে চাইলে, সময়ে চাষ করার মতো
পানি নেই। পানির অভাবে চাষিরা চাষ করতে পারছে না। অথচ
এই নগন্য বৃষ্টিপাতে চুনারুঘাটের রাজার বাজার-
বাসুল্লার অভ্যন্তরীণ রাস্তাটি ভেঙেচুরে বড় বড় খানাখন্দক
বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে চুনারুঘাটের রাজার
বাজার-বাসুল্লার অভ্যন্তরীণ সড়কে রাতে তো দূরের কথা
দিনের বেলা’ই চলতে স্কুল শিক্ষার্থী ও পথচারী সাধারণ
মানুষকে হোচ’ট খেতে হচ্ছে। আর এই রাস্তায় যানবাহনে
চলতে পেটের নাড়িভূড়ি ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই
রাস্তায় চলার পরে বাড়ি ফিরে পেটের ভেতরে ব্যথা অনুভূত হয়।
চলাচলরত যানবাহনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়কে
দুর্ঘটনা নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। স্কুল ও ইউনিয়ন সাস্থ্য-
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংলগ্ন এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে
কুপল ভোগ করছেন সকলেই। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার
মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে এসে যানবাহনসহ
অনেকের বেলাই কষ্ট সাধিত হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান,
রাস্তা দিয়ে একের অধিক মালবাহী লোড যান চলাচলের
কারণে রাস্তাটি ভেঙেচুরে যেতে শুরু করে। এক শ্রেণীর
প্রভাবশালীদের দাপটে এলাকাবাসী নীরব দর্শকের ভূমিকা
পালন করতে বাধ্য হয়। তবে স্থানীয় সাবেক বাজার
সেক্রেটারী হাফিজুর রহমান বাবুল জানান, গ্রামগঞ্জের
এসব রাস্তায় লোড ক্যাপাসিটির চেয়ে বেশি ভারবাহী
যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাগুলো দ্রুত ভেঙেচুরে
খানাখন্দকে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, বাজারের
সাবেক সভাপতি বর্তমান আহবায়ক এবং ১০ নাম্বার
ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সাথে
সাক্ষাত করলে তিনি এ ব্যাপারে বর্তমান ইউপি
চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তিনি জানান,
সরকারী মঞ্জুর হয়েছে চুনারুঘাট এল.জি.ই.ডি অফিস
থেকে এক হাজার ফুট এ সড়কটির সংস্কার করার জন্য প্রায়
৭লক্ষাদিক টাকার টেন্ডার মঞ্জুর হয়েছে। অচিরেই এ রাস্তার
কাজ শুরু হবে এ আশ্বাস দেন। বাজার ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ঠ
সমাজসেবক মাসূক ভূইঁয়া জানান, এ ব্যাপারে প্রায়
এক মাস পূর্বে সকলের সমন্নয়ে বাজার কমিটির
বর্তমান আহবায়ক কে সঙে নিয়ে উপেেজলা চেয়ারম্যানের
বরাবর দরখাস্ত করেন। সরেজমিন দেখা গেছে, কোটি টাকারও
অধিক ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কটি এখন মাছের ঘেরের
বাঁধ হিসাবে পরিনিত হয়েছে। মাছের ঘেরে কানায়
কানায় পানি থাকায় ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহৃত রাস্তার
মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না
রেখে রাস্তার চেয়ে উঁচু করে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের
ভিটা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বাড়ি বা ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের পানি রাস্তায় জমে থাকছে। ফলে রাস্তাটি
দ্রুত গর্তে পরিণত হচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর জোর দাবী
দ্রুত গতিতে যাতে এ রাস্তার কার্যক্রম শুরু হয়।