শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নাতনিকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় ৮০ বছরের দাদীকে নির্মমভাবে হত্যা, দুই যুবক আটক তালা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ইউএনও দীপা রানী সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা তালায় শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারীর মৃত্যু নোয়াখালীতে লাল সবুজ বাস যাত্রীকে মারধরের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দুই জন গ্রেপ্তার অবৈধ সম্পদ অর্জন সাবেক এমপির এপিএস অচীন কুমার দাসের দুই কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে শ্রীঘ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। কুড়িগ্রামে উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান” তালায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমবায় সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ তালায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অধিকাংশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক কি আসলেই চালক? নাকি অন্য কোন এলাকার ফেরারি সন্ত্রাসী? বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে ইলিশের সুবাস: এক ট্রলারে ৬৫ মণ মাছ, বিক্রি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬
  • ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করা হলেও এ দু’জন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ডিবির তদন্তকারী সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের শনাক্ত দু’জনের মধ্যে সরকারি মুদ্রণালয়ের (বিজি প্রেস) মুদ্রণ শাখার কর্মচারী আলমগীর হোসেন এবং গাজীপুরের হাছান নামের এক কলেজ শিক্ষক জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

এর আগে গত ৮ জুন তেজগাঁও থেকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দুই মূল হোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দু’জনের একজন বিজি প্রেসের মুদ্রণ শাখার কর্মচারী আলমগীর। যিনি পরীক্ষার দু’দিন আগে প্রশ্ন ফাঁস করতেন। আর অন্যজন কলেজের শিক্ষক। এই শিক্ষক পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন দিতেন।

উপ-কমিশনার বলেন, ঘটনার পর থেকেই আলমগীর ও হাছানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন তারা। তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও বাসায় অভিযান চালিয়েও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, বিজি প্রেসের কর্মচারী আলমগীর প্রশ্ন ছাপার সময় প্রতিবার দু’টি করে প্রশ্ন মুখস্ত করতেন। পরে বাইরে এসে কৌশলে এসব প্রশ্ন লিখে রাখতেন। আর এভাবেই প্রশ্ন ফাঁস করে চক্রের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। আলমগীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। কিন্তু চক্রের অন্য সদস্যরা আটক হওয়ার পর থেকে আলগমীর পলাতক রয়েছেন।

অন্যদিকে, কলেজ শিক্ষক হাছান কিছুটা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে তিনি মোবাইল ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451