গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ-কালভার্টগুলোতে এলজিইডি’র অর্থায়নে ৫টি বাঁশের
সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সাঁকোগুলো নির্মিত হওয়ায় উপজেলার
কয়েক লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা হয়েছে।
উলেখ্য, বন্যায় ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা
নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানির প্রচন্ড চাপে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পাকা
রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত ও ৬টি ব্রিজ ধ্বসে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রবল পানির চাপে উপজেলা হেডকোয়ার্টার হতে
গুণভরি রাস্তার পূর্ব ছালুয়া ব্রিজ, উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদ হতে
সিংড়িয়া রাস্তায় পশ্চিম ছালুয়া বেইলি ব্রিজ, রাস্তার হঠাৎপাড়া এলাকার
দুইটি ব্রিজ, গুণভরি হতে বাদিয়াখালী রাস্তায় হাজিরহাট ব্রিজ,
কালিরবাজার হতে মাছেরভিটা রাস্তায় দক্ষিণ বুড়াইল ব্রিজের
প্রত্যেকটিতে ২০ থেকে ৩০ মিটার এলাকা ধ্বসে যায়। ধ্বসে পড়ার কারণে
বন্ধ হয়ে যায় ফুলছড়ি উপজেলা সদরের সাথে যানবাহনের যোগাযোগ। এতে
করে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগের কবলে পড়ে। সম্প্রতি স্থানীয়
সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পলী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত প্রকল্পের
আওতায় উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি বেইলি ব্রিজ সংস্কার ও ধ্বসে
যাওয়া ৫টি ব্রিজের স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। জরুরী
ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জনগণের চলাচলের উপযোগি করার
ফলে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জনদুর্ভোগের
কথা বিবেচনা করে জরুরী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের
স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জনগণের চলাচলের উপযোগি করা
হয়েছে। ধ্বসে যাওয়া ব্রিজের স্থানসমূহে স্থায়ীভাবে ব্রিজ-কালভার্ট
নির্মাণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে
প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুততম সময়ে ব্রিজগুলো নির্মাণ
করা হবে।