সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

একদিনেই চার জেলায় সড়কে ঝরল ১৮ প্রাণ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

 

 

একদিনেই চার জেলায় সড়কে ঝরে গেল ১৮ প্রাণ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে জানায়, আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কুমিল্লা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এঁদের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শশৈ ইসলামপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের শিশুসহ সাতজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। আহত সাতজনকে হবিগঞ্জ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকিদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতদের মধ্যে বর, তাঁর ভাই, বাবা ও দাদা রয়েছেন। এ ছাড়া নিহত বাকি পাঁচজনও তাঁদের স্বজন। নিহতদের সবার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রূপসাপুর গ্রামে। একসঙ্গে স্বজনদের হারিয়ে বিয়েবাড়িতে মাতম চলছে।

এর আগে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। কালিহাতী উপজেলার পুংলি নামক স্থানে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন।

নিহত যাত্রীরা হলেন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা গ্রামের আহসান হাবিব (১০), আসমা বেগম (৪০), পাটগ্রামের মমিনুর রহমান (৩৭), রিপন মিয়া (৩০) ও সুমন (২৫)।

এলেঙ্গা হাইওয়ের পুলিশ সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস গাজীপুরের কালিয়াকৈর যাচ্ছিল। এ সময় মহাসড়কের পুংলিতে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসযাত্রী তিন পুরুষ ও এক নারী নিহত হন।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আহত ২০ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন নামে আরেকজন মারা যান। নিহত যাত্রীদের লাশ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম।

এরপর আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কালীবাড়ী এলাকায় মাহেন্দ্রর সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন রাজৈর উপজেলার সানেরপাড় গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের ছেলে ও মাহিন্দ্র পরিবহনের চালক বিল্লাল হোসেন (৪০), একই উপজেলার হাসানকান্দি গ্রামে বিল্লাল হোসেন (৩৫), সালাউদ্দিন ও মেরিনা আক্তার (২৭)। এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেরিনা মারা যান। এ ঘটনায় মাহেন্দ্র ও বাসের ১২ যাত্রীকে আহত অবস্থায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজৈর থানার উপপরিদর্শক রমজান হোসেন বলেন, সমুদ্রসৈকত নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত-নিহতরা সবাই মাহেন্দ্রর যাত্রী। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে রাজৈর থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এ ছাড়া শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় মাইক্রোবাসের তলায় চাপা পড়ে পারভীন আক্তার (২০) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত পারভীন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কেমতলী গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক দেলওয়ার হোসেন জানান, দুপুরে নিমসার বাজার এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের চাপায় পারভীন আক্তার গুরুতর আহত হন। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451