সারাদেশের সন্ত্রাসী কর্র্তৃক নির্যাতন ও হামলা বন্ধ করতে-
সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়
কমিটি!
হেলাল শেখ ঃ
সারাদেশের সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্যাতন ও হামলা মামলা বন্ধ করতে হবে, এর জন্য সকল সাংবাদিককে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই মিলে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করা জড়রী বলে মনে করছেন অনেকেই।
বিশেষ করে সাংবাদিকের উপর হামলা হতেই পারে, অভিযোগ ও মামলা করে হয়রানি করা হতেই পারে। এমনকি
সাংবাদিক সাগর রুনির মতো হত্যার শিকার হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। বর্র্তমান সময়ে সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড বাড়ছে, সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্যাতন ও বিভিন্ন হামলায় অকালে মৃত্যু থেকে বাঁচতে হলে সকল
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী। সাংবাদিক কোনো প্রতারক নয়,সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক
হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে বলেই সাধারণ মানুষ এখনও অনেকটা স্বাধীন।
বিশেষ করে ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক, ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক, ৩/ সাংবাদিক মানে
কলম সৈনিক, ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির সেবক, ৫/ সাংবাদিক মানে সমাজের দর্পন, ৬/ সাংবাদিক মানে
স্বাধীন, ৭/ সাংবাদিক মানে সম্মানী ব্যক্তি, ৮/ সাংবাদিক মানে তদন্ত করে প্রকাশ করা, ৯/ সাংবাদিক
মানে আইন বিষয়ে জানা, ১০/ সাংবাদিক মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করা। ২ থেকে ৪
লাইন লিখতে পারলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। হিংসা বিবাদ করে সাংবাদিক কখনো দেশও জাতির কল্যাণ
করতে পারে না। সাংবাদিক হলেই দেশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা ঠিক নয়। যার দেশ ও জাতির প্রতি
ভালোবাসা নেই.সেইতো পারে হিংসা বিবাদ করতে। জাতীয় প্রেসক্লাব ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের সকল
সাংবাদিক যদি একতা ভাবে থাকেন, তাহলে এমন কোনো শক্তি নেই সাংবাদিককে মারবে, এমন কি
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেউ হামলা, মামলা করবে এমন সাহস কেউ পাবে না।
বিশেষ করে প্রায়ই সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছেন। হামলা, মামলা, নির্যাতন, এমন কি
হত্যার শিকারও হচ্ছেন সাগর রুনীর মতো অনেক সাংবাদিক। এর মূল কারণ হলো, সাংবাদিকরা একতাবদ্ধ
নেই। আমার প্রশ্নঃ কবে, কখন, কিভাবে সাংবাদিকরা রসুনের কোয়ার মতো এক সঙ্গে মিলেমিশে মহৎ এই
পেশায় দায়িত্ব পালন করবেন ? আর কতো নির্যাতনের শিকার হবে এই দেশের সাংবাদিকরা? “হায়
সাংবাদিকতা”! দেশের অনেক লেখক ও সচেতন মহলের অভিমত, সাংবাদিকরা যদি সঠিক ভাবে কাজ না
করতেন, চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজরা দেশের সাধারণ মানুষের রক্ত মাংস খেয়ে মেরে ফেলতো! সরকার দলীয় নেতা,
জননেত্রী শেখ হাসিনা কি বলবেন,বা কি করবেন?
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ, তাদের ১৬ কোটি মন, আর ১৬ কোটি মনের মানুষের সবার মন জয় করা সম্ভব
হয় কি? সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করার পরও অনিয়ম, দুর্নীতি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে
অনেকেই। অনেক পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা সরকারী নীতিমালা মানছে না। কিছু
কর্মকর্তা দেশ ও জাতির অর্থ সম্পদে নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। দেশ ও জাতির কল্যানে
তেমন কিছুই করছেন না আরও সরকারের বদনাম হয় সেই কাজ কর্ম বেশি করছে তারা এটা কি ঠিক?
“ধন্যবাদ জানাই বর্তমান সরকারের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, তিনি সফল সরকার ও বাংলাদেশের
সফল এক নেতা। ধন্যবাদ জানাই, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, হাবিবের মতো নীতিবান
পুলিশ অফিসাকে। আরও অনেক ব্যক্তি আছেন, তাদের নাম বলছি না। আমাদের দেশে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও
৬৪ টি জেলায় অনেক পত্রিকার প্রকাশক/ সম্পাদক আছেন, তাদের নিয়মনীতি অনেক ভালো। তাদের প্রতিষ্ঠানে
কাজ করে সাংবাদিকরা অনেক নাম করেছেন। সকল সম্পাদক ও সাংবাদিকদের দাবির কথা চিন্তা করেই
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” তার নিজ কার্যালয়ে গত ২৪/০৮/২০১৬ ইং তারিখে কিছু অসচ্ছল ও নিহত
সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়
দেখলাম,“সব সাংবাদিক হত্যার বিচার হবেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজকে আশ্বাস
দিয়েছেন” তবে সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্য সবার সহযোগিতা দরকার বলে তিনি জানান। আমি এর
আগেও বলেছি,সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।
বিশেষ করে পুলিশের মতো সাংবাদিকরা বেতন পেলে-দেশের ৯০% দুর্নীতি কমে যাবে । দুষ্টচক্র বা
সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কিছুর সাথে নিজেকে জড়ানো যাবে না এবং যারা দেশ
বিরোধী কাজ করবে তাদের সম্পর্কে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে সবাইকে। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ
হওয়া দরকার এবং প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সকল সাংবাদিকদের কমিটি ঘঠন করা জরুরী বলে মনে করছে
অনেকেই। উক্ত ব্যাপারে ধারাবাহিক প্রতিবেদন পর্ব ২। সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হও,তা না হলে সাংবাদিকরা
সন্ত্রসীদের হামলা ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাবেন না।