গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ
(জেএমবি)’র সদস্য ফরিদ উদ্দিন (৪৫) কে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার কথামত বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ে
ছাইয়ের ঢিবির নিচে পুঁতে রাখা একটি পলিথিন ব্যাগে ইংরেজিতে
আই.ই.বি লেখা ৩টি তাজা বোমা এবং বোমা তৈরীর বারুদ, বোমার
সার্কিট, ডেটোনেটর, ব্যাটারীসহ ৯টি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ফরিদ
উদ্দিন ওই উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম রাঘবপুর ভুতমারা গ্রামের
মৃত সাদেক আলীর ছেলে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদর বোনারপাড়া শহরের কলেজ রোড
সংলগ্ন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে জেএমবি সদস্য ফরিদকে
গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ উদ্দিন জানায়, তার আদি বাড়ি ছিল
সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা হেড কোয়াটার সংলগ্ন এলাকায়। নদী ভাঙ্গনের
কারণে তার বাবা সে সাঘাটা উপজেলার ওই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে
১৯৯৪ সালে। সেখানেই জেএমবির সক্রিয় কর্মী ট্রলির মালিক মোকছেদুল
ইসলামের মাধ্যমে ওই সংগঠনে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। ফরিদ চালক
হিসেবে মোকছেদুলের পাওয়ার ট্রলিতে কাজ করতো। গাইবান্ধায় জঙ্গিদের
বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে মোকছেদুল বোমা ভর্তি ব্যাগটি ফরিদ উদ্দিনের
কাছে রেখে তার স্ত্রী রোজিনা বেগমসহ পালিয়ে গিয়ে টাঙ্গাইলে বসবাস
শুরু করে। গত মাসে টাঙ্গাইল জেলায় পুলিশের হাতে জেএমবি কর্মী
মোকছেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রোজিনা ধরা পড়লে তারা পুলিশকে ফরিদ উদ্দীনের
কথা জানায়। মোকছেদুল বোমা এবং বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদি যে ফরিদের
কাছে সংরক্ষিত আছে তাও পুলিশকে জানায়। টাঙ্গাইল পুলিশসহ বিভিন্ন
আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য গত মাসে একাধিক বার ফরিদ উদ্দিনের
বাড়িতে অভিযান চালায়। টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে গাইবান্ধার
সাঘাটা থানার পুলিশ গোপন সুত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বোনারপাড়া কলেজ
রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে।