মোঃ নাজিম উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি- গাজীপুর,
শ্রীপুর উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা সহ প্রায় পাঁচ লক্ষ
লোক বসবাস করে। এখানে ছোট বড় অনেক কারখানা রয়েছে।
ছোট ছোট কারখানাগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে আসছে।
বড় বড় কলকারখানাগুলো বিদ্যুৎ এর সাহায্যে চলেনা তবুও কল-
কারখানা বন্ধ হয়েগেলে ইর্মাজেন্সি বাতি গুলো জ্বালানো হয়।
সম্পূর্ণ শ্রীপুর উপজেলায় যতটুকু বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তা
একে বারে নগন্য। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, মাওনা
শাখা থেকে সমস্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার
মধ্যে প্রায় ১২-১৩ ঘন্টা নানা অজুহাতে লোড শেডিং করে
যাচ্ছে। বিদ্যুৎ এর গ্রাহকদের অভিযোগ এত কম বিদ্যুৎ
পাওয়া সত্ত্বেও মাসে মাসে বিলের টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এ
ব্যাপারে বিদ্যুৎ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন যদি বিল সংক্রান্ত কোন অভিযোগ
পাওয়া যায় বা মিটারে কোন সমস্যা ধরা পড়ে বা পাওয়া যায়
তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করি এবং তিনি
বলেন শ্রীপুর উপজেলায় ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ চালু রাখতে ৭০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে আমরা পাচ্ছি ১৬
থেকে ৩০ মেগাওয়াট। কোন কোন সময় একটু বেশিও পাওয়া
যায়। তবে যটতুকু প্রয়োজন ততটুকু নয়। বিদ্যুৎ এর বেহাল
অবস্থার জন্য শ্রীপুরের আপামর জনসাধারণ অত্যন্ত কষ্ট সহ্য করে
যাচ্ছে। এমন লোড শেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত। তাই এই
পরিস্থিিিত হতে পরিত্রাণ পাওয়া জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানী
মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন
শ্রীপুরের ভোক্তভোগী জনসাধারণ।