বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

তীব্র শীতের পূর্বাভাস, সঙ্গে বৃষ্টি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে
banglar protidin

 

রাজধানীর আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছিল সূর্যের মুখ। এমন অবস্থা দেশের অনেক স্থানেরই। এর মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ খানিকটা বেড়েছে; যদিও তাতে শীত তেমন কমেনি। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একলাফে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কাল শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করবে। এমনটা আর দুই দিন চলতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু এ অঞ্চলের মানুষ। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়াও সৈয়দপুর আর তেঁতুলিয়াতেও তাপমাত্রা ছিল ৮-এর ঘরে। আর বদলগাছী, রংপুর, ডিমলা, রাজারহাটে তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রির ঘরে। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের অন্য স্থানগুলোর মতো আজ ঢাকাতেও বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আজও দুয়েক স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে ৩১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই দিন বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উত্তরে কনকনে শীত, সারা দেশ নিয়ে কী বলছে আবহাওয়া অফিস
এ শীতের মধ্যে বৃষ্টি বাড়িয়েছে শীতের প্রকোপ। বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রাজধানীর বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সামান্য। তবে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়—৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া কুমিল্লায় ৮ মিলমিটার এবং চট্টগ্রামে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

এ দফার পর আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। ১ থকে ২ ফেব্রুয়ারিও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বেশ বৃষ্টি হয়। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ সময় ১৮ থেকে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

প্রচলিত আছে, মাঘের শেষে বৃষ্টি হলে তা ফসলের অনেক কাজে লাগে। ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই মধ্যমাঘে বৃষ্টি ফসল ও চাষাবাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রবিশস্যের ওপর কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম।’

কোন এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকে বলে গণ্য করা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তবে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশে মাঝারি বা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451