ঢাকা : এবার রাজধানীতে এক শিশু শ্রমিকের পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢোকানোর ঘটনা ঘটেছে। আরন নামে ১১ বছরের এই শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকায় মেঘলা অটোমোবাইল নামে এক প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলার প্রতিদিন অনালাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিকিৎসাধীন শিশু আরন পুলিশকে জানিয়েছে, সে মেঘলা অটোমোবাইলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বুধবার বিকেলে শরিফুল (১১) নামের আরেক শিশু শ্রমিক জোর করে তার পায়ুপথে বাতাস দিয়েছে। বাতাস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরনের পেট ফেঁপে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকায় শিশুশ্রমিকের পায়ুপথে বাতাস, অবস্থা আশঙ্কাজনক
এর পরে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অস্ত্রোপচার শুরু হবে।
এই বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, তাঁরা শিশুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছেন। পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেছে। এ বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক দোকান কর্মচারীর পায়ুপথ দিয়ে পেটে বাতাস ঢোকানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এর কিছুদিন আগে জুলাই মাসে রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে একটি পোশাক কারখানায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক শ্রমিককে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৪ আগস্ট খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজে মলদ্বারে পাইপের মাধ্যমে হাওয়া ঢুকিয়ে কিশোর মো. রাকিব হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির রায় হয়েছে।
একই রকমভাবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জোবেদা টেক্সটাইল মিলসে শিশু সাগর বর্মণের পায়ুপথে খেলার ছলে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করে তাঁর তিন কিশোর সহকর্মী।