রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের এলাকার
বিয়ে পড়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন কাজী মোতাহার হোসেন। তার বাড়ি হাটাব
এলাকায়। বৈধ কাজীর ক্ষমতা দেখিয়ে তিনি বাল ̈ বিয়ে দিয়ে আসছেন বলে
অভিযোগ রয়েছে। ̄’ানীয় ভাবে প্রভাব থাকায় তিনি প্রশাসনসহ কাউকেই তোয়া
ক্কা করেননা। ̄‹ুল পড়–য়া মেয়েদের জীবন নিয়ে খেলা করে তিনি মজা পান।
আড়াই মাস আগে নিজের ছেলে কাউছার মিয়ার স১ে⁄২ সামিয়া আ৩ার মীম নামে
এক কিশোরী বাল ̈ বিয়ে দেন। পরে বিচারবৈঠক করে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই
কিশোরী নববধুর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
কাজী মোতাহারের দম্ভো৩ি, আমার হাতের মুঠোয় জেলা রেজিষ্টধার ও প্রশাসনসহ
উপর মহলে লোক আছে। আমার লাইসেন্স কেউ খেতে পারবেনা। আমি যেভাবে ইচ্ছা
সেভাবে বিয়ে পড়াবো। কেউ কোন শব্দ করতে পারবেনা। সাংবাদিকরা এসব ব ̈াপারে
লিখলে আমার কিছু যায় আসে না।
̄’ানীয় সুত্রে জানা গেছে, এ বছরের ৬ মে কাজী মোতাহার মোল্লা তার ছেলে
কাউছার মোল্লাকে দিয়ে পার্শবর্তী মাছুমাবাদ এলাকার শেখ শামীম মিয়ার ̄‹ুল
পড়–য়া মেয়ে সামিয়া আ৩ার মীমের বাল ̈ বিয়ে দেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে
বিয়ের সময় জামাতার বাড়িতে আসবাবপত্রসহ সবই দিয়েছেন শেখ শামিম মিয়া।
বিয়ের বেশ কয়েক দিন তাদের সুখের সংসার ভালোই চলছিলো। এরপর থেকেই কাওছার
মোল্লা, শশুর কাজী মোতাহারসহ শশুর বাড়ির লোকজন নববধু সামিয়া আ৩ার মীমের
উপর নির্যাতন চালাতো। পরে সামিয়া আ৩ার মীম জানতে পারে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ
এলাকার জারা আ৩ার নামে এক খালাতো বোনের স১ে⁄২ কাউছার মোল্লার বিয়ের
আগেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় কাউসার মোল্লা,
শশুর কাজী মোতাহার মোল্লাসহ শশুর বাড়ির লোকজন সামিয়া আ৩ার মীমকে শারিরিক
নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর সামিয়া আ৩ার মীমকে আর গ্রহন
করে বাড়িতে তুলেননি পাষন্ড ̄^ামী কাউছার মোল্লা, শশুর কাজী মোতাহারসহ শশুর
বাড়ির লোকজন।
এ ঘটনার পর গত ৬ আগস্ট কাজী মোতাহার মোল্লা তার ছেলে কাউছার মোল্লার
̄^াক্ষরিত একটি নোটিশ ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম ̈ান বরাবর পাঠানো হয়। ওই
নোটিশের বিষয় ছিলো ”১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অডিন ̈ান্সের
(৮নং আইন) ৭ ধারার ১ উপধারা অনুযায়ী ̄^ামী কর্তৃক ̄¿ীকে তালাকের নোটিশ”।
এ ব ̈পারে গত রোববার রাতে ইউপি চেয়ারম ̈ান ব ̈ারিষ্টার আরিফুল হক ভুইয়া এক
বিচারশালিশে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। ̄‹ুল ছাত্রীর স১ে⁄২
বাল ̈ বিয়ের পর বিচ্ছেদ ঘটনানোর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া কাজী মোতাহার মোল্লা বেশ কয়েকটি বাল ̈ বিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া অ
বৈধ বিয়ে পড়িয়ে তিনি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ
করেছেন ̄’ানীয় বাসিন্দারা।
অভিযু৩ কাজী মোতাহার বলেন, মেয়ের পুর্ণ বয়স হয়নাই বিধায় রেজিষ্টিধ করি
নাই। কলিমা পড়িয়ে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছিলাম। চাল্লচলন ভালো না বিধায়
ছেলেকে দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েছি। অপর অভিযু৩ কাউছার মোল্লার স১ে⁄২
যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তবে ̈ করেননি।
এ ব ̈পারে সামিয়া আ৩ার মীমের বাবা শেখ শামিম মিয়া বলেন, আমরা কিছু বলতে
পারবো না সব কিছু চেয়ারম ̈ান জানেন। আমরা অসহায় দেখে প্রভাব খাটানো
হয়েছে। আর বিচারশালিসে ঘোষনা দেয়া ৮ লাখ টাকাও তিনি পাননি।
ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম ̈ান ব ̈ারিষ্টার আরিফুল হক ভুইয়া বলেন, উভয় পক্ষের স
ম্মতিμমে বিচারশালিশে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ঠিক আছে। তবে,
কাজী মোতাহার মোল্লা ও তার ছেলে কাউছার মোল্লা যে অপরাধ করেছে তাদের বিচার
হওয়া দরকার।
জেলা রেজিষ্টধার সাবিকুন্নাহার বলেন, বাল ̈ বিয়ে পড়ানোটা সম্পূর্ণ অন ̈ায়
মুলক কাজ। এছাড়া রেজিষ্টিধ ছাড়া শুধু কলিমা পড়িয়ে বিয়ে পড়িয়ে থাকলে
সেটিও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যেহেতু এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি অবশ ̈ই তদন্ত
মোতাবেক ব ̈ব ̄’া গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, কাজীর বিষয়টি
জেলা রেজিষ্টধার দেখে থাকেন। তারপরও যেহেতু এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি। এ ব ̈পারে
জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি পাঠানো হবে।