মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আস্থা রাখুন, ক্ষতি হলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতাম না: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাঃ
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা এদেশের স্বাধীনতা এনেছি, আমরা এ দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। কাজে এতটুকু আস্থা আমার ওপর রাখা উচিৎ। কোনো ক্ষতি হলে আমি অন্তত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতাম না।”

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় সরকার সবদিক থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকছে।বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে জার্মানির একটি ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো আপোস করবো না। শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন গ্যাস-এসিড নিঃসরণে উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রপাতি বসানো হবে। বাতাসে ওড়া ছাই ধরে রাখার ব্যবস্থা হবে, যা সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহার হয়। গ্যাস থেকে সার উৎপাদন করা হবে।

তিনি জানান, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস নিঃসরণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বেধে দেওয়া সীমারেখার চেয়েও অনেক কম হবে। শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। তিনি এ সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নানা তথ্য উপস্থাপন করেন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধীদের নানা যুক্তি খণ্ডন করেন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

শুরুতেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তারপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের নিকটবর্তী বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড’। প্রকল্পে সহায়তা করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের জন্য ৪৩০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চলছে প্রাথমিক অবকাঠামোর কাজ। পরিবেশের বিশেষ করে সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে এমন বক্তব্য সামনে এনে বিভিন্ন সংগঠন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণের বিরোধিতা করছে। বামপন্থী দলগুলোর এই বিরোধিতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451