হেলাল শেখ ঢাকা ঃ
সারাদেশে প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ
পলিথিনে বাজার সয়লাব-অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া ভাবে ব্যবসা
পরিচালনা করছে। ফলে-একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার
হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার বাড়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পানির ওপর
নাম জীবন, আর বিভিন্ন এলাকায় সেই পানির প্রবাহ পথ বন্ধ হচ্ছে
পলিথিন ব্যবহার করার কারণে। যেখানে-সেখানে পলিথিন ফেলে দেওয়ার কারণে
এগুলো রাস্তা থেকে ড্রেনে গিয়ে পড়ে, এর ফলে পানি নিস্কাশনে বাধা সৃষ্টি
করায় দেশজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পলিথিন নিষিদ্ধ করেছেন
সরকার, কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভুমিকায় থাকায় পলিথিন ব্যবহার
বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে জনমনে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এসব পলিথিন ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে
ব্যবসা পরিচালনা করছেন- কিছু অসাধু পুলিশ ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ হচ্ছে।
সেই কারণেই পলিথিন বিক্রি বন্ধ হচ্ছেনা । কিছু লোক সাইকেল যোগে
অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন বেচা-কেনা করে থাকে। নতুন নতুন কৌশলে
পলিথিন বেচা-কেনা হয়। এসব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থার
নেতা ও কর্মকর্তারা মানববন্ধন করেছেন,পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং
পাশাপাশি পলিথিন বিরোধী যে আইন করা হয়েছে, তা কার্যকর ভুমিকা
পালন করছেন কিছু কর্মকর্তা। বর্তমান সরকার সোনালী দিন ফেরাতে
পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছেন। কিন্তু অবৈধ ও নিষিদ্ধ ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না এর মূল কারণ
কি? জনগণ সচেতন নয়, প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও রাজনৈতিক কতিপয়
নেতার নাম ব্যবহার করেও এসব কারবার চলছে।
বিশেষ করে, সারাবিশ্বে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশে আমাদের
সকলের অবহেলা এবং সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট আজ বিলুপ্তির
পথে। লেখক- কলামিস্ট, পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের
প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমন যুবসমাজকে নষ্ট করে। ঠিক তেমনি
পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনে। এ সমস্যা দেশ ও জাতির
এবং আপনার আমার সকলের জন্য। নদীর দিকে তাকালেই পলিথিনের কুফলের
প্রমাণ পাওয়া যায়। আপনার বাসা বাড়ির যেকোনো স্থানে তাকালেই দেখা
যায় নিষিদ্ধ পলিথিন। মানুষ বাঁচার জন্য ডাক্তারকে লাখ লাখ টাকা দেয়, লাখ
লাখ টাকা মূল্যের জমি বেচা-কেনা করছেন,কিন্তু এই পলিথিন ও প্লাস্টিক
দ্রব্য ব্যবহার করায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের সবকিছুই। নিজে সচেতন হয়ে