হেলাল শেখ- ঢাকা ঃ
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্র্রতিটি এলাকায় অনেক নারী ও শিশু কিশোর চরম অনিরাপদ সময়
পার করছে। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের বাবা-মা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে পারছেন না।
জানা গেছে, একের পর এক অপহরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু কিশোর। কোথাওবা চুরি,
ছিনতাইয়ের অপবাদে কিছু নিরীহ শিশু কিশোরদের ওপর চালানো হচ্ছে বর্বর নির্যাতন,
পরকীয়ার কারণেও ্ধসঢ়;আপন মা-বাবার কাছেই অনিরাপদ এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বিশেষ করে
অনেকেই বলছেন, শিশু হত্যায় এখন নানা ধরণের ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। পুলিশের কিছু
কর্মকর্তা বলছেন, শিশুদের ওপর নির্মম নির্যাতনের ধরণ অনেক রকম হয়ে থাকে, এর কারণে
শিশু কিশোরদের যারা নির্যাতন বা হত্যা করছে তাদের শাস্তি হচ্ছে না। আর এসব অপরাধীদের
বিচার হচ্ছে না বলেই শিশু কিশোর হত্যার মতো নিষ্ঠুরতা দিন দিন বাড়ছে।
তথ্য মতে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন
মানুষ ক্রমেই সম্পর্ক ও সম্পদের জন্য নৃশংস হয়ে উঠছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে
বিভিন্ন জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবহারের ফলে মানুষ বেশি নির্দয় আচরণ করছে শিশু কিশোররদের
সাথে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই হত্যার শিকার হচ্ছেন! প্রশ্নঃ নারী ও শিশু
কিশোরদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? অনেকেই বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও শিশু
কিশোরদের নিরাপত্তা নিয়ে তেমন তৎপরতা নেই।
উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে ঢাকার আশুলিয়া থানায় ৪২/১৬০ নং একটি মামলা
হয়েছে, শিশু বাচ্চার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করার অপরাধ। শিশু আইনের ৭০ ধারায় এই মামলা হলেও
অপরাধীর আজও পর্যনÍ শাস্তি হয়নি। এ মামলার বাদী সীমা আক্তার বলেন, আসামী কর্তৃক
প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার কারনে, সেই ভয়ে এখন সে নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরসহ বেশকিছু শিল্প কারখানায় অনেক নারী শ্রমিক
বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সারাদেশে এ রকম অনেকই নিরাপত্তাহীন। এর সাথে
যোগ হয়েছে জঙ্গিবাদ! বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। জেলা ও থানা পর্যায়ে এই নারী ও
শিশু কিশোরদের দিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হচ্ছে।