সালেকিন মিয়া সাগর চুয়াডাঙ্গা থেকে:
চুয়াডাঙ্গা
জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাংগা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লায় মাঝ পাড়ায় বাবা ও সৎ মা মিলে ৭ বছরের শিশুকে হাঁত পা বেঁধে পিপড়ার চাকে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ঘটনায় পাষন্ড পিতাকে পুলিশ আটক করেছে।
কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ব্রীজ মোড়ের ফলের দোকান দার জামসেদ ওরফে জামের ১ স্ত্রী মারা গেলে বুইচিতলা গ্রামে বিয়ে করে।তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান জুনাইদ(৭)। জুনাইদের মা বিষপানে মারা গেলে।জুনাইদ এতিম হয়ে পড়ে।জাম আবারও রোজিনা নামের এক মেয়ে কে বউ করে ঘরে আনে।জুনাইদ ও বড় হতে থাকে সৎমার সংসারে।গতকাল সোমবার সকালে জুনাইদের পুকুরে গোসল করার অপরাধে তার পাষন্ড বাবা জামসেদ ও সৎ মা মিলে জুনাইদ কে হাত পা বেধে পিপড়ার ঝাকে ফেলে রাখে।জুনাইদ পিপড়ার কামরে যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে।জুনাইদের মুখে এক ফোটা পানিও দেয়নি কেউ তখন।পরে বিষয়টি জানতে পারে নুড়িতলার পাড়ার কলিমের ছেলে বাবলু জুনাইদ কে পিপড়ার ঝাক থেকে তুলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসে।ততক্ষনে জুনাইদের শরিরর পিপড়ার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।খবর পেয়ে পিরপুরকুল্লা ওয়ার্ডের মেম্বর রাজ্জাক জুনাইদের বাবা মাকে বিষয়টি নিয়ে কঠোর সতর্ক বানী দেন।ভবিষ্যতে জুনাইদের সাথে এমন খারাপ করলে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দেন।তবে এ বিষয়ে জুনাইদের বাবার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ওর সৎমা এর দোষ নেই দোষ আমার।এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল বাবা জাম ও সৎমা রোজিনার শাস্তি দাবি করেছে।জুনাইদের সৎমা সব নিজ চোখে দেখেও যন্ত্রনায় ছটফট করা জুনাইদের হাত পায়ের বাধন খুলে দেয়নি। পরবর্তীতে এই ঘটনা কার্পাসডাংগা পুলিশ ফাড়িতে জানালে মঙ্গলবার এসএই মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাষন্ড পিতাকে তৎক্ষনাত আটক করে । পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।