গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্রটি সাত বছর ধরে নষ্ট। প্রায় তিন গুণ বেশি টাকা খরচ করে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক্স-রে করাতে হ”েছ।
৫০ শয্যার এ স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে গুরুদাসপুর উপজেলা ছাড়াও বড়াইগ্রাম, সিংড়া, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে একটি এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। অনেকবার নষ্ট হয়ে গেলেও জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে এত বছর ওই যন্ত্র দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হ”িছল। কিন্তু সাত বছর আগে যন্ত্রটি একেবারে অচল হয়ে যায়।
উপজেলা স্বা¯’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনন্দ মোহন মন্ডল বলেন, সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে ৩০০ এমএম আকৃতির একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র চেয়ে নাটোর সিভিল সার্জনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অথচ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
গুরুদাসপুর পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরে সাতটি বেসরকারি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে দুটিতে ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র রয়েছে। সেখানে ৩০০ টাকার নিচে কোনো পরীক্ষা করা যায় না।
উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক জানান, বেসরকারি হাসপাতালে ছোট আকারের একটি রঙিন এক্স-রে করাতে ৩০০-৫০০ টাকা লাগে। আর বড় আকারের (ডাবল ভিউ) এক্স-রে করাতে ৮০০-১০০০ টাকা নেওয়া হয়। অথচ সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র সচল থাকলে ১২০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে সেবা পাবেন রোগীরা।
জেলা সিভিল সার্জন মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এক্স-রে যন্ত্রের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হ”েছ না।