শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

চট্টগ্রামে রোগীদের দুর্ভোগে ফেলে ধর্মঘট

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮
  • ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

পূর্বঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি। গতকাল রবিবার সকালে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালসহ কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলাকালেই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে সংগঠনটি। গতকাল দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলে বন্দরনগরীতে অচল হয়ে পড়ে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিএমএ চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিসনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর আগেই ধর্মঘট শুরু করে দেয় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। ২টার পর ধর্মঘট পুরোপুরি শুরু হলে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। নতুন করে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মেট্রোপলিটন, রয়েল, সিএসসিআর, শেভরন, পিপলস, ন্যাশনাল, ম্যাক্স, ট্রিটমেন্ট, হলি হেলথসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। পুরনো রোগীরা পাচ্ছে না চিকিৎসাসেবা। মেট্রো, এপিক, ঈগলস আই, উডল্যান্ড, মেঘনা, ল্যাব-এক্সপার্ট, বেসিক ল্যাব, চিটাগাং ল্যাব, ডক্টরস ল্যাব, প্রিমিয়ার, সেবাসহ, বেলভিউ, সেনসিভসহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে চেম্বারের সিরিয়াল নিয়েও ধর্মঘটের কারণে ফিরে গেছে অনেক রোগী। দুপুরের পর থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অপারেশন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

গতকাল দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে না পেরে সবাই ফিরে যায়। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীরা যায় সরকারি মেডিক্যালের দিকে। হঠাৎ ধর্মঘটে দিশাহারা হয়ে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আশায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারা।

ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি স্বীকার করে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. এম এ কাসেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমনিতেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কারণে লোকসানে আছে। বিষয়টি আমরা প্রায় দুই মাস আগে সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনের সঙ্গে দেখা করে অবহিত করেছি। ওই ঘটনা (শিশু রাইফার মৃত্যু) নিয়ে আমরা গত শুক্রবার বৈঠক করেছি। এ রকম পরিস্থিতি (ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান) সৃষ্টি হলে ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আজ (রবিবার) সকালে ম্যাক্সসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে হয়রানি শুরু হলে আমরা বৈঠকে বসি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক চালানো সম্ভব নয়। তাই আমরা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাব ও চেম্বার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি।’

বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান বলেন, ‘বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সঙ্গে আমরা (বিএমএ) একাত্মতা ঘোষণা করেছি।’

একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘মেট্রোপলিটন হাসপাতালে অপারেশন চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা কিভাবে প্রবেশ করেন? অপারেশন থিয়েটার নয়, আইসিইউসহ যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় সেখানে জোরপূর্বক তাঁরা ঢুকতে পারেন না। তবে ধর্মঘট আমরা আহ্বান করিনি। এটা বেসরকারি মালিক সমিতির ডাকা। আমরা শুধু সমর্থন জানিয়েছি।’

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিসনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এই ধর্মঘটের আওতায় সরকারি হাসপাতাল, করপোরেশনের আওতাধীন হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসেন্ট পরিচালিত জেমিসন হাসপাতাল পড়বে না। বেসরকারি ছাড়া অন্য সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আগে ভর্তি হওয়া রোগীরা এই ধর্মঘটের আওতায় পড়বে না। তাদের চিকিৎসা চলবে।

আলোচনায় ড্যাব নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরীর নাম : শিশু রাইফার মৃত্যু নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিএমএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী চিকিৎসকদের আন্দোলনে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং আন্দোলন পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি। তিনি বলেছিলেন, ‘মার খেলে হবে না, মার দিতে হবে।’ তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

ম্যাক্স হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা : ম্যাক্স হাসপাতালে গতকাল অভিযান চালান র‌্যাব-৭-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ওই অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছিলেন।

গতকাল সকাল ১০টার দিকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা সেখানে যেতে শুরু করেন। সকাল ১১টার দিকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। হাসপাতালটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া অভিযানে পাওয়া বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সংশোধন না হলে হাসপাতালটি বন্ধ করা হবে বলেও জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা।

অভিযান শেষে সোয়া ৩টার দিকে ম্যাক্স হাসপাতালের নিচতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন ভুঁইফোড় বা অখ্যাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে সেগুলো ম্যাক্স হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের প্যাডে প্রিন্ট করে রোগীদের দেওয়া হয়। দেখা গেছে, অর্ধেক দামে বাইরের অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনে রোগীদের কাছ থেকে তার জন্য দ্বিগুণ দাম নেওয়া হচ্ছে, যা রোগীদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। এ ছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজিতে কোনো মাইক্রোবায়োলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া গেছে অনুমোদনহীন ওষুধ। অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহূত অনেক সার্জিক্যাল আইটেমের মেয়াদ নেই। ম্যাক্স হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও দুই বছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে ড্রাগ লাইসেন্সের।’

ধর্মঘট নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বক্তব্য : র‌্যাবের ‘অভিযানের প্রতিবাদে’ চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে ধর্মঘটের সংবাদের বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। চিকিৎসকরা এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

অভিযানে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাউকে সরকার ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। চিকিৎসকদের এই আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রোগী ও স্বজনদের সীমাহীন দুর্ভোগ : চট্টগ্রাম নগরী থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের রামগড় থেকে বৃদ্ধা মা ওয়াজ খাতুনকে নিয়ে ট্রাকচালক ছেলে মোস্তফা কামাল জিইসির মোড় এলাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। দুপুর ১টার দিকে সেখানে এসে বিকেলে চিকিৎসকের চেম্বারে দেখানোর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন মা-ছেলে। ২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হলে আগে নেওয়া সিরিয়াল বাতিল করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে অপেক্ষার পর চিকিৎসক আসবেন না জেনে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় হাসপাতালের সামনে মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এত কষ্ট করে রামগড় থেকে এসেছি মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। মায়ের হাড়ের সমস্যা। অর্থোপেডিক চিকিৎসক সমিরুল ইসলামকে দেখানোর জন্য এসেছিলাম। আন্দোলন শুরু হয়েছে শুনেছি, হাসপাতাল থেকেও বলেছে ডাক্তার কখন কোন দিন দেখবেন তা তারা বলতে পারছে না। তাই ডাক্তার না দেখিয়ে মাকে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।’ এভাবে গতকাল দুপুর ২টা থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় বেসরকারি পর্যায়ে সব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার রোগী ও তাদের স্বজন। গতকাল বেশি বিপাকে পড়ে চিকিৎসকদের চেম্বারের রোগীরা। নগরীর এক হাজার ২০০ থেকে  এক হাজার ৫০০ চেম্বারে ২৫ থেকে ৩০ হাজার রোগী বিভিন্ন এলাকা থেকে সিরিয়াল নেয়।

বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি চমেকের ই-মেইল থেকে : বেসরকারি হাসপাতালে ধর্মঘটের ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) সরকারি ই-মেইল। গতকাল বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে ‘বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি’র নামে বার্তাটি পাঠানো হয় চমেকের ই-মেইল cmc@ac.dghs.gov.bd থেকে।

সিএসসিআর হাসপাতালকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা : নগরীর বিশেষায়িত সিএসসিআর হাসপাতালকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া মেট্রোপলিটন, রয়েল, বেলভিউ ও ল্যাবএইডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিএমএর বৈঠক : গতকাল রাত ৮টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত সাধারণ চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেছে বিএমএ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে অনুষ্ঠিত ওই সভায় পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। এতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ সোমবার নগরীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ : চট্টগ্রামের শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের করা পৃথক দুই তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ম্যাক্স হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়ে অনিয়ম আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দূর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুত্র, কালের কণ্ঠ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451